বুধবার, ৫ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইং ২১শে ভাদ্র, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

জেনে নিন ঘুমের ঘোরে কথা কারণ ও প্রতিকার

ধরুন পাশে কেউ ঘুমাচ্ছে, সেই ঘুমের মধ্যেই মানুষটি এলোমেলো কথা বলতে শুরু করল। আর সেটা একদমই ঘুমের ঘোরে, অবচেতন মনে। সে নিজেই টের পাচ্ছে না যে সে কথা বলছে বা ঘুম ভাঙার পরে সেই কথা তার মনেও থাকছে না। এই ঘুমের ঘোরে কথা বলার অভ্যাস ছোট-বড় যে কারোই থাকতে পারে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না এই কথা বলার সমস্যাটি কেন হয় বা এর প্রতিকার কি।

ঘুমের ঘোরে কথা বলার কারণ

মানসিক উদ্বেগ
মানসিক উদ্বেগ বা অবসাদের ফলে ঘুমের মধ্যে কথা বলে অনেকেই। সারাদিনের এলোমেলো চিন্তাগুলো ঘুমের মধ্যে মস্তিস্কের মধ্যে ঘুরেফিরে চলে আসে বলে ঘুমের মধ্যে মানুষ কথা বলে।

ঘুমের সময়
ঘুমের নির্ধারিত সময় না থাকলে এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। আবার দিনে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া বা ঘুমের স্থান পরিবর্তন করলেও ঘুমের মধ্যে ব্যাঘাত ঘটে আর ঘুমের মধ্যে মানুষ কথা বলে।

অত্যাধিক ক্যাফেইন গ্রহণ করলে
মদ্যপান বা ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় গ্রহণের ফলে মানুষ ঘুমের মধ্যে কথা বলতে পারে।

ভারী খাবার খাওয়া
ঘুমানোর আগে যদি একটু বেশি ভারী খাবার খাবার খাওয়া হয়ে যায় তাহলে ঘুমে একটু ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তার ফলে ঘুমের মধ্যে এলোমেলো কথা বলার প্রবণতা তৈরি হয়।

মানসিক বা শারীরিক অসুস্থতা
যদি মানসিকভাবে জটিল কোনো সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রে ঘুমের মধ্যে কথা বলতেই পারে। আবার শারীরিক কোনো রোগ যেমন- জ্বর, কোথাও তীব্র ব্যথা, অনিদ্রার সমস্যা থাকলে মানুষ ঘুমের ঘোরে কথা বলতে পারে।

ওষুধের কারণে
যাদের বিভিন্ন রোগের জন্য শক্তিশালী ওষুধ খেতে হয় বা ওষুধ গ্রহণ করতে হয় তাদের শরীরে বেশকিছু পরিবর্তন হতে পারে। যাতে করে ঘুমের বা স্নায়বিক কোনো সমস্যা শুরু হয়। এতে করে ঘুমের মধ্যে এলোমেলো বকতে পারে মানুষ।

যেভাবে প্রতিকার মিলবে
১. এই সমস্যার সমাধানে ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় গ্রহণের প্রবণতা কমানো প্রয়োজন। এছাড়াও রাতে ঘুমানোর আগে ভারী খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন।

২. আর মানসিক উদ্বেগ দূর করতে দুই-এক দিনের ছুটি নিয়ে কোথাও ঘুরে আসুন। একটু হালকা হতে চেষ্টা করুন।

৩. এছাড়াও বিভিন্ন ব্রিদিং এক্সারসাইজ বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করে করে মানসিক উদ্বেগ দূর করুন। বিভিন্ন বই পড়ে, শরীরচর্চা করে, গান শুনে মেজাজ ভালো রাখুন।

৪. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান এবং নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠুন। আর নিয়মিত অবশ্যই আট ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ঘুম কম হলে ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা ততই বাড়বে।