মঙ্গলবার, ১১ই জুলাই, ২০১৭ ইং ২৭শে আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

যে সাত খাবারে গায়ে গন্ধ!

AmaderBrahmanbaria.COM
জানুয়ারি ১৫, ২০১৪

---

Khabarসামাজিক মেলামেশা আর আটপৌরে জীবনে সবচেয়ে বিব্রতকর বিষয়গুলোর একটি নিঃসন্দেহে বডি ওডর বা গায়ে গন্ধ হওয়া। জিন বা বংশগতির বাহক থেকে শুরু করে সস্তা সুগন্ধি, পেশাগত কাজের ধরন কত কিছুকেই না দায়ী মনে করা হয় শরীরে দুর্গন্ধের জন্য। কিন্তু প্রতিদিন আপনি যেসব খাবারদাবার খাচ্ছেন তাতেই লুকিয়ে নেই তো শরীরে বাজে গন্ধের কারণ!

কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ গায়ে গন্ধের জন্য অতিমাত্রায় ডিওডেরান্টের ব্যবহারকে যেমন দায়ী মনে করছেন, তেমনি অনেকেই এ জন্য শরীরের জৈবিক গঠন কাঠামোকেই দায়ী মনে করেন। তবে যে বিষয়টিতে বিশেষজ্ঞরা প্রায় সবাইই একমত তাহলো—বিশেষ ধরনের কিছু খাবার থেকে গায়ে গন্ধ হতে পারে। নিয়মিত বা বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে গন্ধ হতে পারে, এমন সাত খাদ্যের তালিকা এখানে তুলে ধরা হল। আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ এ পরিস্থিতির শিকার হয়ে থাকলে এ জাতীয় খাবারদাবারের বিষয়ে সতর্ক হন।

মসলাজাতীয় খাবার
বেশি পরিমাণে মসলাজাতীয় খাদ্য গ্রহণের ফলে শরীরে অতিরিক্ত ‘সালফার’ বা গন্ধক সৃষ্টি হতে পারে। এ গন্ধক আপনার ত্বকের লোমকূপ এবং নিঃশ্বাসের সঙ্গে বেরিয়ে আসবে। খেয়াল রাখুন যে খাবারে যেন অতিরিক্ত পেঁয়াজ, রসুন বা ঝাল না থাকে।

 

লাল মাংস

লাল মাংস বা গরু, খাসি, ভেড়া, শূকরের মাংস হজম করতে শরীরের সর্বোচ্চ শক্তি খরচ হয়। এসব খাবার বেশি পরিমাণে খেলে শরীর গরম হয়ে ওঠে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘাম হয়। এ থেকেও শরীরে গন্ধ হতে পারে। নিরামিষভোজীদের ক্ষেত্রেও বেশি পরিমাণে মেথি বা এমন তীব্র গন্ধযুক্ত লতা-পাতা খেলেও এমন হতে পারে।

 

পানীয়, চকোলেট

বেশি বেশি চকোলেট খেলে বা অতিরিক্ত চা, কফি, সোডা ও অ্যালকোহল পান করা থেকেও গায়ে গন্ধ হতে পারে। এসব খাবার-পানীয় বেশি খেলে এর কমপক্ষে ১০ ভাগ ঠিকমতো পরিপাক হয় না এবং তা থেকে শরীরে হালকা ঘাম হতে পারে। বিশেষত বেশি অ্যালকোহল পানে শরীরে গন্ধ হয়ই।

 

হাবিজাবি খাবার

নিয়মিত জাঙ্কফুড বা নানা রকমের ভাজা-পোড়া হাবিজাবি খাবারে অভ্যস্ত হওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করার অভ্যাস না থাকলে মেদ-চর্বি জমে। যা ঘাম এবং শরীরে গন্ধের অন্যতম কারণ। এসব খাবার থেকে বাজে গন্ধের ঢেকুরও আসতে পারে। আর বেশি মাত্রায় পোড়া তেল, চিনি, ময়দা বা লবণযুক্ত খাবার খেলেও এমন হতে পারে।

 

শর্করা কম খেলে

খাবারে শরীরের চাহিদার চেয়ে শর্করা কম হয়ে গেলে ঘাম হতে পারে। এ থেকে রক্তকণিকায় ‘কিটোনস’ নামের একটি রাসায়নিক ছড়িয়ে পড়ে যা থেকে গায়ে অনাকাঙ্ক্ষিত গন্ধ হতে পারে।

 

দুগ্ধজাত খাবার

দুগ্ধজাত খাবারদাবারে বেশ প্রোটিন থাকে এবং অতিমাত্রায় এসব খাবার খেলে তা পরিপাকে বেশ সময় লাগে। বেশি মাত্রায় এসব খাবার খেলে শরীরে ‘হাইড্রোজেন সালফাইড’ এবং ‘মিথাইল মারকাপ্টান’ নির্গত হয়, যা থেকে গায়ে বাজে গন্ধ হতে পারে।

 

তামাক খেলে

আমরা সবাইই এটা জানি। সিগারেটের ধোঁয়া শরীরের ঘাম গ্রন্থীগুলোর সঙ্গে মিলে বিশেষ একটা ‘ধূমপায়ী গন্ধ’ তৈরি করে। আর এটা মাথার চুল থেকে শুরু করে কাপড়চোপড় সব খানেই জড়িয়ে থাকে। তাই গায়ে গন্ধ এড়াতেও ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।

এ জাতীয় আরও খবর