শ্রীলঙ্কা মাত্র ১১৪ রানে অলআউট। জবাবে ৫ উইকেট আর ১৭২ বল হাতে রেখেই বিরাট এক জয়।
বাংলাদেশ থেকে সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরে, দুবাইয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের যুবারা এশীয় প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিল যখন, সেই একই সময় আফগানিস্তান জাতীয় দলও সুখবরের সুবাতাস ছড়িয়ে দিচ্ছে যুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশটিতে। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে ‘বড় ভাই’ পাকিস্তানকে কোণঠাসা করে ফেলেছে তারা। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ৩১ ওভারে পাকিস্তানের স্কোর ৬ উইকেটে ১২৩। রান চারেও নিচে। হাতেও নেই উইকেট। প্রজেক্টেড স্কোর দেখাচ্ছে, এভাবেই খেলে গেলে পাকিস্তান তুলতে পারবে মোটে ১৯৯!
আঁটোসাটো বোলিং আর দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে হাঁসফাঁস করতে থাকা পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা রান রেট বাড়িয়ে নেওয়ার চাপ থেকে ঝুঁকি নিয়ে খেলতে গিয়েই সর্বনাশ করেছেন নিজেদের। ১ উইকেটে ৭৮ থেকে পাকিস্তান মুহূর্তের মধ্যেই হয়ে গেছে ৫ উইকেটে ১০৮। মাত্র ৭ ওভারের মধ্যে ৩০ রানের ভিতরে হারিয়ে ফেলেছে ৪ উইকেট। খানিক পরে শহীদ আফ্রিদিও ফিরে গেলে পাকিস্তানের সর্বনাশের চূড়ান্ত। একপ্রান্তে উমর আকমল আছেন বটে, কিন্তু পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপের লেজটা বের করে এনেছে আফগান বোলাররা।
উদ্বোধনী জুটিতেই আসলে পাকিস্তান তুলে ফেলেছিল ৫৫ রান। পরের ৫৩ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়েছেন তাঁরা। আম্পায়ারের বদান্যতায় একবার ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া শার্জিল খানকে দিয়েই পাকিস্তানের পতনের শুরু। উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন মোহাম্মদ হাফিজ। ফিফটি করে একমাত্র আশার আলো হয়ে ছিলেন যিনি, সেই আহমেদ শেহজাদকে বোল্ড করেছেন সলিমুল্লাহ। সাকিব মাকসুদও তাঁর শিকার। মাঝখানে কোনো বল না খেলেই মিসবাহ-উল হক হয়েছেন রানআউট। আফ্রিদি তাঁর মতোই পরিস্থিতি না বুঝে মেরে খেলতে গিয়ে দৌলাত জরদানের বলে বোল্ড।
প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে খেলতে এসেই আফগানিস্তান কি তুলে নিতে পারবে অভিষেকেই স্মরণীয় জয়? সে কথা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। তবে এটা বলাই যায়, যুব দল আর জাতীয় দল মিলে এখন যেভাবে খেলছে, ক্রিকেট মানচিত্রে আফগানদের জন্য সমীহের একটা জায়গা ছেড়ে দিতেই হবে বাকিদের!