তারেক সাঈদসহ ২৩ আসামি কাঠগড়ায়
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : আলোচিত সাত খুনের দুটি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের প্রস্তুতি চলছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে। এতে তারেক সাঈদ ও নুর হোসেনসহ ২৩ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতের কাঠগড়ায় হাজির করা হয়েছে। দুই মামলার দুই বাদীর সাক্ষী দেয়ার কথা রয়েছে।
সোমবার সকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়েছে। কোর্ট পুলিশের পরির্দশক হাবিবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত বছরের ১৭ জুন সাত খুনের ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন র্যাব-১১ এর চাকরিচ্যুত অধিনায়ক ও অবসরে পাঠানো সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল তারেক সাঈদ।
৪ জুন র্যাব-১১ এর উপঅধিনায়ক ও অবসরে পাঠানো মেজর আরিফ হোসেন ও পরদিন ৫ জুন নৌ বাহিনীর কমান্ডার এম এম রানা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার এবং তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন।
৩০ এপ্রিল বিকালে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জন এবং ১ মে সকালে অপরজনের লাশ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় নিহত নজরুলের শ্বশুর ছয় কোটি টাকার বিনিময়ে র্যাব তাদের হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন।
পরে এ ঘটনায় সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। তবে ভারতে পালিয়ে যান নূর হোসেন।
সাত খুনের ঘটনার পরেই ত্রাণমন্ত্রী ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা তারেক সাঈদ ও তার অধস্তনদের বিরুদ্ধে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে গত ১৬ মে রাতে তারেক সাঈদ ও আরিফ হোসেন এবং ১৭ মে এম এম রানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। র্যাবের এ তিন কর্মকর্তাকে প্রথমে প্রত্যাহার এবং পরে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।