শুক্রবার, ২৭শে জানুয়ারি, ২০১৭ ইং ১৪ই মাঘ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

আশুগঞ্জে ৪০ হাজার একর জমিতে লক্ষাধিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

AmaderBrahmanbaria.COM
জানুয়ারি ২৩, ২০১৭

প্রতিনিধি: চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে প্রায় ৪০‘হাজার একর জমিতে নামমাত্র খরচে সেচের পানি সরবরাহ করার লক্ষ্য নিয়ে বিএসিডিসি‘র আশুগঞ্জ-পলাশ এগ্রো ইরিগেশন প্রকল্পের পানি অবমুক্ত করণের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার সকালে আশুগঞ্জ পাওয়ার ষ্টেশনর কোম্পানীর অভ্যন্তরে ডিসচার্জ চ্যানেলের পাশে ইনটেক প্রধান স্লুই গেইট খোলে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আবু নাছের পানি অবমুক্ত করেন।
এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আশুগঞ্জ পাওয়ার ষ্টেশনের কোম্পানীর প্রকল্প পরিচালক ক্ষিতিশ চন্দ্র বিশ্বাস, আশুগঞ্জ-পলাশ এগ্রো ইরিগেশন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ ওবায়েদ হোসেন, সহকারি প্রকৌশলী রনী সাহা, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি সেলিম পারভেজ। এসময় এই সেচ প্রকল্পের সুবিধাভোগী কৃষক ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে এ প্রকল্পের অধীনে ৪০‘হাজার একর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদান করে প্রায় লক্ষাধিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
প্রকল্পের কারিগরি বিভাগসূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)‘র ব্যবস্থাপনায় প্রতি বছর বুরো মৌসুমে আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ডিসার্জ চ্যানেল থেকে একটি স্লুইচ গেইটের মাধ্যমে এক হাজার কিউসেক কুলিং পানি সরবরাহ করা হয়। এই পানি প্রকল্পের প্রধান খালের মাধ্যমে আশুগঞ্জ বিদুৎ কেন্দ্রের মাত্র ২৫ শতাংশ বর্জ্য পানি সেচ কাজে ব্যবহার করে চলতি বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ, সরাইল ও সদর উপজেলার ৪০‘হাজার একর জমি সেচের আওতায় আনা হয়েছে। প্রকল্পে কৃষকেরা লিপ্টিং পদ্ধতিতে (যেখানে খাল থেকে পাম্পের মাধ্যমে পানি উঠাতে হয়) প্রতি একর ২‘শ এবং গ্রেভিটি পদ্ধতিতে (যেখানে সেচের পানি সরাসরি জমিতে ছড়িয়ে পড়ে) প্রতি একর ৪‘শ টাকায় সেচ সুবিধা পাচ্ছেন।
এব্যাপারে আশুগঞ্জ-পলাশ এগ্রো ইরিগেশন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ ওবায়েদ হোসেন জানান, এ প্রকল্পে ভূ-উপরস্থ নদীর পানি ব্যবহার করায় জমির উর্বর শক্তি থাকে অক্ষুন্ন এবং জমিতে সার প্রয়োজনের তুলনায় কম লাগে ও ধান উৎপাদনও হয় বেশী। এ প্রকল্পে চলতি মৌসুমে আশুগঞ্জ অংশে ৪০ হাজার একর জমিতে সেচের পানি সরবরাহ করে ১ লাখ ৮ হাজার টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আবু নাছের জানান, এই প্রকল্পটি দেশের মধ্যে কম খরচে সেচের পানি সরবরাহ করার একটি ব্যতিক্রম ধর্মী প্রকল্প। ভবিষ্যতে প্রকল্পটি সম্প্রসারন করা হলে জেলার নাসিরনগর, বিজয়নগর উপজেলার প্রায় ২৫ হাজার একর জমি সেচের আওতায় আনা সম্ভব হবে এবং ঐ এলাকার কৃষকরাও কম খরচে অধিক ধান ফলানো সম্ভব হবে।