শুক্রবার, ১০ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ইং ২৮শে মাঘ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

কেন আমার চরিত্র হনন করা হচ্ছে : শুভ্রা

AmaderBrahmanbaria.COM
ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৭

বিনোদন ডেস্ক : সম্প্রতি শুভ্রার সঙ্গে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অফিসার মনোজ কুমারের কিছু ছবি প্রকাশ্যে আসার পরে হইচই শুরু হয়। মনোজ তখন রোজ ভ্যালি কাণ্ডে তদন্ত করছিলেন। অন্যতম মূল অভিযুক্ত গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা কতটা, এর ফলে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে কি না, এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। মনোজকে দ্রুত তদন্ত থেকে সরিয়েও দেওয়া হয়। তারপর একের পর এক তথ্য উঠে আসে গণমাধ্যমে।

এ ব্যাপারে সেই শুভ্রা কুণ্ডু বলেন, “আমার স্বামী জেলে। আমি দুটি ছেলেমেয়েকে নিয়ে কী ভাবে বেঁচে আছি, কতটা লড়াই চালাতে হচ্ছে, আমিই জানি। আমার পাশে না হয় কেউ না-ই থাকল। কিন্তু এ ভাবে কেন চরিত্রহনন করা হচ্ছে?”

মনোজের সঙ্গে সম্পর্কের প্রসঙ্গ উঠতেই শুভ্রা বলেন, “মনোজবাবু আমাকে বেশ কয়েক বার জেরা করেছেন। আমার যা বলার আমি তাকে বলেছি। তাকে যা বলেছি, সিবিআইকেও ঠিক তা-ই বলেছি। ”

এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, “আপনারা যদি জানতে চান, আমার বলতে অসুবিধা নেই, গত কয়েক মাস ধরে জীবনের কঠিনতম সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছি। এই সময়ে হাতে গোনা যে কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে তারা আমার ক্ষতি চান না, মনোজবাবু তাদের অন্যতম। ”

শুভ্রার অভিযোগ, অনেকেরই তো বাইরে বন্ধু হয়। তা হলে কেউ তার বন্ধু হলে সেটা নিয়ে এত হইচই, এত চরিত্রহনন করা হবে কেন?

রোজ ভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রী, মধ্য তিরিশের শুভ্রা এখন দক্ষিণ কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে ৪ বছরের মেয়েকে নিয়ে রয়েছেন। পড়াশোনার জন্য ১৪ বছরের ছেলে রয়েছে দূরে। স্বামী জেলে যাওয়ার পরেও কী ভাবে চালাচ্ছেন এমন জীবনযাত্রা?

ফোনে শুভ্রা বলেন, “সবাইকে বলে দিন, মাত্র মাস দুয়েক আগে ইডি এবং সিবিআই-এর কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়ে আমি রোজ ভ্যালির-ই সংস্থা অদ্রিজা-র পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ শুরু করেছি। সেটাই আপাতত আমার একমাত্র রোজগার। ”

তার আগে কী করে চলছিল? শুভ্রা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের মার্চ মাসে ইডির হাতে গ্রেফতার হন গৌতম। তার পরেই তাদের হোটেল ব্যবসার নাম বদলে ফেলা হয়। নতুন চকোলেট হোটেল গ্রুপের অন্যতম ডিরেক্টর হিসেবে মা বিভা কুণ্ডুকে নিয়োগ করতে বলেন গৌতমই। তিনি জেলে থাকলেও যাতে বাইরে তার বাবা-মা, স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ের কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা। বিভাদেবী ব্যবসার কিছুই বোঝেন না। শুধু মাসের শেষে এক গুচ্ছ টাকা পৌঁছে যেত বাড়িতে।

শুভ্রার কথায়, “ওই টাকাতেই আমাদের সব খরচ চলতো। এর মধ্যে শ্বশুর মারা যান। ” রোজ ভ্যালি সূত্রের খবর, কাছাকাছি দুটি আলাদা ফ্ল্যাটে গৌতমের মা এবং স্ত্রী থাকলেও ইদানীং সেই সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ফলে, যে টাকা শাশুড়ি-বৌমা ভাগ করে নিচ্ছিলেন, তা আর সম্ভব হচ্ছিল না। আর তাই নিজের ছেলেমেয়ের খরচ চালানোর কথা নিজেকেই ভাবতে হয়েছে বলে দাবি করেন শুভ্রা।

এ দিন ফোনে বলেন, “আমি লিখিত ভাবে ইডি ও সিবিআইয়ের অনুমতি নিয়েছি। অদৃজা এখন যাঁরা চালান, তারাই বলেছেন, সংস্থার কর্মী হিসেবে নয়, আপনি পরামর্শদাতা হিসেবে থাকুন। অন্তত সেইটুকু সম্মান তারা এখনও আমাকে দিচ্ছেন। ”

সূত্র: আনন্দবাজার