শনিবার, ১১ই মার্চ, ২০১৭ ইং ২৭শে ফাল্গুন, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

এ মাসেই ১৭ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ

AmaderBrahmanbaria.COM
মার্চ ৩, ২০১৭

চলতি মাসেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পাচ্ছেন। পুল ও প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের মধ্য থেকে এ নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, এ নিয়োগের পরও সহকারী শিক্ষকের অন্তত ১৮ হাজার পদ শূন্য থাকবে। এছাড়াও প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ১৬ হাজারের বেশি।

মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, পুল-প্যানেলের অবশিষ্ট প্রার্থীদের ৩০ মার্চের মধ্যে নিয়োগ দিতে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। আদালতের রায়ের আলোকে এই কাজটি করলেও একে (রায়) শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণের উপায় হিসেবে আমরা নিয়েছি।

বর্তমানে ৬৫ হাজার নতুন-পুরাতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় অর্ধ লাখ শিক্ষকের পদ খালি আছে। এর মধ্যে ১৬ হাজার প্রধান শিক্ষকের, বাকিরা সহকারী শিক্ষক। এর মধ্যে গত আগস্টে ৩৪তম বিসিএস থেকে ৮৯৮ জনকে প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এখন সহকারী শিক্ষকের পদ পূরণের উদ্যোগ নেয়া হল।

ডিপিইওদের কাছে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে নিয়োগে পাঁচটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্যানেলভুক্ত অবশিষ্ট ৭ হাজার ২১৮ জন এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুলভুক্ত ১০ হাজার ২৫৫ জনকে নিয়োগের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল। এতে প্যানেলভুক্তদের বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় স্থাপিত নতুন ও জাতীয়করণকৃত স্কুলে এবং পুলভুক্তদের সরকারি স্কুলে নিয়োগ করতে বলা হয়।

রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগের লক্ষ্যে ২০১০ সালের ২১ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকার। তখন আবেদনকারীদের পরীক্ষা নিয়ে ২০১২ সালের ৮ এপ্রিল ৪২ হাজার ৬১১ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। তাদের মধ্যে তখন ১০ হাজার ৫১৪ জন নিয়োগ পান। বাকি ২৮ সহস্রাধিকের নিয়োগ ঝুলে ছিল। পরে প্রার্থীদের মামলার কারণে গতবছর কিছু নিয়োগ পান। বাকি ৭ হাজার ২১৮ জন নিয়োগ পাচ্ছেন এখন।

অপরদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগের লক্ষ্যে ২০১১ সালের ৪ আগস্ট বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নেয়া পরীক্ষায় ২৭ হাজার ৭২০ জন উত্তীর্ণ হন। তাদের মধ্য থেকে তখন ১২ হাজার ৭০১ জনকে শূন্য পদে নিয়োগ দেয়া হয়। বাকি ১৫ হাজার ১৯ জনকে এক নীতিমালার আলোকে পুলভুক্ত করে রাখা হয়। কথা ছিল, পুলের শিক্ষকরা উপজেলায় সংযুক্ত থাকবেন। যখন যে স্কুলে শিক্ষকের সংকট দেখা দেবে- সেখানে সাময়িকভাবে পদায়ন করা হবে। কিন্তু এক সময়ে এসব প্রার্থীর প্রত্যাশা বেড়ে যায়। ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সরকার সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিলে পুলভুক্তরা মামলা করেন। স্থায়ী নিয়োগ না দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়ায় এর (বিজ্ঞপ্তি) বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয় এতে। এরপর আরও একাধিক মামলা হয়। এসব মামলার রায়ের আলোকেই এখন নিয়োগ পাচ্ছেন পুলভুক্তরা।

এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) মহাপরিচালক ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, স্কুলে শিক্ষকের অনেক শূন্যপদ আছে। এবার পুল-প্যানেলের কোনো প্রার্থী আর নিয়োগবঞ্চিত থাকবেন না।