বৃহস্পতিবার, ৮ই জুন, ২০১৭ ইং ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

ষাটের দশকের অন্যতম কবি ও সাংবাদিক সাযযাদ কাদির আর নেই ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া

AmaderBrahmanbaria.COM
এপ্রিল ৬, ২০১৭
news-image

---

ষাটের দশকের অন্যতম কবি ও সাংবাদিক সাযযাদ কাদির আর নেই। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় তিনি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে উনার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাহিত্য সংষ্কৃতি সেবীদের সঙ্গে কবি সাজ্জাদ কাদিরের ছিল নিবিঢ় সম্পর্ক। তিনি বহুবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসেছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। কবি সাজ্জাদ কাদিরের মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।

সাহিত্য একাডেমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
কবি সাজ্জাদ কাদিরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে সাহিত্য একাডেমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক একেএম শিবলী এক বিবৃতিতে জানান, কবি সাজ্জাদ কাদিরের মৃত্যুতে দেশ একজন গুনী কবি সাংবাদিককে হারিয়েছে। সাহিত্য একাডেমির জন্য উনার নানা অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী সংসদ

কবি সাজ্জাদ কাদিরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী সংসদের সভাপতি আল আমীন শাহীন, সাধারণ সম্পাদক আনিছুল হক রিপন,সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ পারুল সহ শিল্পীবৃন্দ।

উল্লেখ্য কবি সাজ্জাদ কাদির ১৯৪৭ সালের ১৪ এপ্রিল টাঙ্গাইল জেলার মিরের বেতকা গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলায়।
সাযযাদ কাদির দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালে করোটিয়া সা’দত কলেজের বাংলা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি কলেজের চাকরি ত্যাগ করে সাপ্তাহিক বিচিত্রা পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা পেশায় আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৭৮ সালে যোগ দেন রেডিও বেইজিংয়ে। ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় যুক্ত ছিলেন। তিনি আগামী-তারকালোক পত্রিকা, দৈনিক দিনকাল, বাংলাদেশ প্রেস ইনিস্টিটিউট ও সর্বশেষ দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

সাযযাদ কাদির শুধু মাত্র কবিতায়ই নয় গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ-গবেষণা, শিশুতোষ, সম্পাদনা, সঙ্কলন, অনুবাদসহ বিভিন্ন বিষয়ে ৬০টির বেশি গ্রন্থ রচনা করেছেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে- যথেচ্ছ ধ্রুপদ, চন্দনে মৃগপদচিহ্ন, লাভ স্টোরি, রাজরূপসী, প্রেমপাঁচালী, হারেমের কাহিনী, পৃথিবীর প্রিয় প্রণয়ী, অপর বেলায়, অন্তর্জাল, খেই, বৃষ্টিবিলীন ইত্যাদি। তিনি পশ্চিমবঙ্গের নাথ সাহিত্য ও কৃষ্টি কেন্দ্রিক সাহিত্য পত্রিকা ‘শৈবভারতী’র ৩৪তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রবন্ধ সাহিত্যে ‘শৈবভারতী’ পুরস্কার অর্জন করেন।
তিনি ১৯৬২ সালে বিন্দুবাসিনী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ১৯৬৯ সালে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৭০ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।