g উচ্চবর্ণে বিয়ে করায় মেয়ের সামনেই জামাইকে পোড়াল শ্বশুর! | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শুক্রবার, ৬ই অক্টোবর, ২০১৭ ইং ২১শে আশ্বিন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

উচ্চবর্ণে বিয়ে করায় মেয়ের সামনেই জামাইকে পোড়াল শ্বশুর!

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ২৮, ২০১৭
news-image

---

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে বর্ণ প্রথা যে এখনও কতটা প্রখর তা দেখা গেল সম্প্রতি দেশটির হায়দরাবাদের একটি ঘটনায়। উচ্চবর্ণের মেয়েকে বিয়ে করার ‘অপরাধে’ অম্বজি নরেশ (২৩) নামের এক যুবককে তাঁর স্ত্রীর সামনেই খুন করে পুড়িয়ে দিল তাঁরই শ্বশুর।

পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়ে তুমল্লা স্বাতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল নরেশের। কিন্তু নরেশ নিন্মবর্ণের হওয়ায় স্বাতীর পরিবার এই সম্পর্কটা কোনোভাবেই মানতে চাইছিল না। অবশেষে মাস দুয়েক আগে বাড়ির অমতেই নরেশকে বিয়ে করেন স্বাতী। বিয়ের পর দু’জনে মুম্বাই চলে যান। মেয়ে এত বড় কাণ্ড ঘটালো, সেটা মেনে নিতে পারেননি স্বাতীর বাবা শ্রীনিবাস রেড্ডি। তখনকার মতো বিষয়টা সামলে নিয়ে মেয়েকে বাড়িতে ফিরে আসতে বলেন তিনি। কোনো ঝামেলা না হওয়ার আশ্বাসও দেন শ্রীনিবাস। বাবার কথায় আশ্বস্ত হয়ে নরেশকে নিয়ে হায়দরাবাদের ভঙ্গিরে পৌঁছন স্বাতী। সেখানে তাঁদের নিতে আসেন স্বাতীর বাবা, কাকা এবং ভাই। অভিযোগ, স্বাতীকে সেখান থেকে বাড়িতে নিয়ে গেলেও নরেশকে সঙ্গে নিয়ে যাননি তাঁরা। সে দিন থেকেই আর খোঁজ মেলেনি নরেশের। তাঁর সঙ্গে বার বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি বলে পরিবারের দাবি।

এ ঘটনায় নরেশের পরিবার পরে থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। শুরু হয় তদন্ত। কিছু দিন পর স্বাতীদের বাড়ির পাশের একটি ঝোঁপ থেকে অর্ধদগ্ধ এক যুবকের দেহ মেলে। নরেশের পরিবারকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁরা নরেশের দেহ সনাক্ত করেন। স্বাতীর পরিবারের বিরুদ্ধে খুন করার অভিযোগ আনে নরেশের পরিবার। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শ্রীনিবাস রেড্ডি ও তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের জেরা করে উঠে আসে ভয়ঙ্কর সত্য। জেরায় অভিযুক্তেরা নরেশকে খুনের কথা স্বীকার করেন।

ঠিক কী হয়েছিল?
অভিযুক্তেরা জানান, ওই দিন নরেশকে কাছেরই একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে প্রথমে খুন করেন। তারপর তাঁর দেহ নিশ্চিহ্ন করতে তাঁর দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। আর সবচেয়ে ভয়ানক যে বিষয়টি তা হল, গোটা ঘটনাটাই ঘটানো হয়েছে স্বাতীর চোখের সামনেই! রাচাকোন্ডার পুলিশ কমিশনার মহেশ ভগবত জানান, এই দৃশ্য দেখার পর মানসিকভাবে পুরোপুরি ভেঙে পড়েন স্বাতী। বিষয়টি নিয়ে যাতে মুখ না খোলেন, সে জন্য প্রতিদিন শাসানো হত স্বাতীকে। এই ভাবেই চলছিল কয়েক দিন। তাঁর চোখের সামনে স্বামীকে খুন হতে হল, আর সেই হত্যাকারী তাঁর বাবা-কাকা-ভাই! এটা কোনোভাবে মেনে নিতে পারেননি স্বাতী। মানসিক অবসাদে এবং স্বামী হত্যার শোক সহ্য করতে না পেরে স্বাতীর শেষ পরিণতিও করুণ হয়। গত ১৫ মে আত্যহত্যা করেন তিনি! সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

এ জাতীয় আরও খবর