মাকে বেঁধে মেয়েকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ
---
নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডিমলায় মাকে বেঁধে রেখে বাড়ি থেকে মেয়েকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার ঝুনাগাছচাপানী ইউনিয়নের চাতুনামা গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।
গণধর্ষণের শিকার ওই মেয়ের মা জানান, তার স্বামী কাজের জন্য এলাকার বাইরে ছিল। শনিবার রাতে ৭/৮ জন দুর্বৃত্ত বাড়িতে এসে তাকে হাত মুখ বেঁধে মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তার নাতি-নাতনিরা বাধন খুলে দেয় এবং চিৎকার করতে থাকে। পরে স্থানীয় এগিয়ে এসে মেয়েকে খুঁজতে থাকে। পর দিন প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে হাত-পা বাঁধা অজ্ঞান অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে মেয়ের বাবা বাড়িতে চলে আসে।
মেয়ের বাবা বলন, খবর পেয়ে দ্রত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি জামা-কাপড় ছেঁড়া অবস্থায় মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। পরে খবর দেওয়া হলে পুলিশ মেয়েকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মফিজ উদ্দীন শেখ বলেন, ‘মোখিক অভিযোগে ওই নারীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সামিউল ইসলাম বলেন, ‘মাকে শারীরিকভাবে আঘাত এবং মেয়েকে ধর্ষণজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ সুলতানা রাজিয়া বলেন, ‘প্রাথমিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।’ সোমবার সকালে নীলফামারীর সির্ভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মণ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে।’