g সংকট নিরসনে সৌদি ও কাতারের ফোনালাপ | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

সোমবার, ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ইং ২৭শে ভাদ্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

সংকট নিরসনে সৌদি ও কাতারের ফোনালাপ

AmaderBrahmanbaria.COM
সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৭

---

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :সৌদি আরবসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে কাতারের চলমান সংকট নিরসনে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।

ফোনালাপে সৌদি আরবকে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে কাতারের আমির বলেন, সৌদি আরব এবং তার মিত্র দেশগুলো কাতারের কাছে যেসব দাবি তুলে ধরেছে সেগুলো নিয়ে তারা আলোচনায় আগ্রহী।

সৌদি আরবের বার্তা সংস্থা এসপিএ জানায়, ‘টেলিফোন আলাপের সময় কাতারের আমির আগ্রহ প্রকাশ করেছেন চারটি দেশের দাবি নিয়ে আলোচনার টেবিলে বসার।’

বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরব বাকি তিনটি দেশ- বাহরাইন, মিশর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের কথা বলবে বলে জানিয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতারের নেতাদের সাথে আলাদাভাবে কথা বলার পর দুই দেশের মধ্যে এ টেলিফোন আলাপ হয়েছে। হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানের হুমকি মোকাবেলার জন্য ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য থাকতে হবে।

সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়ার অভিযোগ এনে গত মে মাসের শুরুতে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশ কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। অবশ্য, কাতার তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। চারটি আরব দেশের অবরোধের কারণে গ্যাসসমৃদ্ধ দেশ কাতার তাদের ২৭ লাখ মানুষের জন্য সমুদ্র এবং আকাশপথে খাদ্য আমদানি করতে বাধ্য হচ্ছে।

এ সংকটে কাতারের পাশে দাঁড়িয়েছে ইরান ও তুরস্ক। ওই দুই দেশ কাতারে খাদ্য পাঠিয়েছে। এছাড়া, শক্তি প্রদর্শনের জন্য সেনা ও সামরিক যান পাঠিয়েছে তুরস্ক।

পরে কাতার সংকট সমাধানে ১৩টি শর্ত দেয় দোহার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা চারটি আরব দেশ। এসব শর্তের মধ্যে আল-জাজিরা টেলিভিশন বন্ধ করে দেয়া এবং ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাসের কথাও আছে। এছাড়া, কাতারে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি বন্ধ এবং দেশটিতে অবস্থানরত ওই চার দেশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের হস্তান্তরেরও দাবি জানানো হয়। তবে এসব শর্তকে বাস্তবতা বিবর্জিত বলে উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান করেছে দোহা।

এ জাতীয় আরও খবর