g কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শনিবার, ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ইং ১লা আশ্বিন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

AmaderBrahmanbaria.COM
সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭
news-image

---

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের দেখতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত ও নারকীয় তাণ্ডব, নির্বিচারে হত্যা, লুণ্ঠন ও ধর্ষণের বর্ণনা শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। অশ্রুজল দেখা যায় চোখের কোণে।

রোহিঙ্গা এক শিশু প্রধানমন্ত্রীকে তার পরিবারের ওপর সে দেশের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের কথা জানান। শিশুটি জানায়, তাদের জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে আগুন দেয়া হয়। তার বাবাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিষ্ঠুর নির্যাতনের হাত থেকে রেহায় পায়নি শিশুটিও। তার নাকে আঘাত করে থেঁতলে দেয়া হয়।

শিশুটির কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় অশ্রুসিক্ত নয়নে ওই শিশুকে বুকে জড়িয়ে নেন। তাকে সান্ত্বনা দেন। নির্যাতিত নারী ও শিশুদের কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী তাদের সবধরনের সাহায্য-সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস দেন।

এরআগে মঙ্গলবার সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে প্রথমে কক্সবাজার এবং সেখান থেকে সড়কপথে উখিয়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা দুর্ভাগা নারী, পুরুষ, শিশুদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা, পুত্রবধূ আইওএম কর্মকর্তা পেপ্পি সিদ্দিকও এ সময় উপস্থিত আছেন।

সেখানে এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমারে যা ঘটছে, সেটি ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’। বাকরুদ্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনা দেখে চোখের পানি ধরে রাখা যায় না। মানুষ মানুষের মতো বাঁচবে। মানুষের কেন এত কষ্ট! তারা (মিয়ানমার) আইন পরিবর্তন করে ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করছে। আইন পরিবর্তন করে কেন এই ঘটনার সৃষ্টি করা হল?’

শেখ হাসিনা নিরীহ রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। দৃঢ় কণ্ঠে তিনি বলেন, যারা প্রকৃত দোষী তাদের খুঁজে বের করুন। এক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে যা যা সাহায্য করা দরকার, আমরা তা করব। মানবিক দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশ মিয়ানমারের শরণার্থীদের আশ্রয় দিলেও এ দেশের ভূমি ব্যবহার করে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানো হলে তা বরদাশত করা হবে না।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, পূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, হুইপ ইকবালুর রহিম, কক্সবাজার-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন নদভী, মন্ত্রী পরিষদ সচিব শফিউল আলম, মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, কক্সবাজারের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক ও র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।