রবিবার, ১০ই জুন, ২০১৮ ইং ২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি পুরোদমে এগিয়ে চলছে

news-image

ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে হিন্দু স¤প্রদায়ের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি পুরোদমে এগিয়ে চলছে। আসন্ন দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় চলছে মৃৎ শিল্পীদের। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাদা, মাটি, খড়, কাঠ, বাঁশ, সুতলি দিয়ে দূর্গা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা।

মাটির কাজ শেষে হলেই শুরু হবে রং তুলির আঁচড়। দেবী দূর্গা সহ প্রতিমাগুলো মনোমুগ্ধকর অনিন্দ্য সুন্দর রুপ দিতে ও নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে কাজ করছেন শিল্পীরা। স্থানীয় মৃৎ শিল্পি ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে কারিগররা এখানে এসে তৈরি করছেন প্রতিমা। দূর্গা ছাড়াও লক্ষী, স্বরস্বতী, কার্তিক, গনেশ, অসুর, সিংহ, মহিষ, পেঁচা, হাঁস, সর্পসহ প্রায় ১২ টি মূর্তি তৈরি হচ্ছে নিপূন হাতে। বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ৩৭ টি পূজামন্ডপে প্রতিমা তৈরি হচ্ছে। প্রতিটি মন্ডপে প্রতিমা নির্মাণের পাশাপাশি চলছে সর্বজনীন স্থায়ী মন্দিরগুলোতে সাজসজ্জা ও অস্থায়ী মন্ডপগুলোতে চলছে সুদৃশ্য বিশাল প্যান্ডেল, তোরণ এবং বর্ণাঢ্য আলোকসজ্জার কাজ।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ষষ্টী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে মুল দেবী বন্দনা। এ অনুষ্ঠান চলবে ৫ দিন ব্যাপি অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর মহাদশমী পর্যন্ত।

আরও : তবে কি অভিনয় দিয়ে মন জয় করেছেন অধরা?

এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শাখার সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান বাবু মিন্টু রঞ্জন সাহা ও সাধারণ সম্পাদক রুপুসদী ইউনিয়নের গৌড় ধন ঘোষ জানিয়েছেন, এ বছর গৌরীপুর উপজেলায় সর্বমোট ৩৭টি পূজা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে পৌর শহরে ৩টি ও ১৩টি ইউনিয়নে ৩৪ টি মন্ডপে পুজা উদযাপন হবে।এ বছর হাফ ডজন মন্ডপ বেড়েছে। বর্তমানে সকল পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা ব্যস্তসময় পার করছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত ওসমান বলেন,-‘মাননীয় এমপি ক্যা. তাজ স্যারের নির্দেশে এ বছর গত বছরের চেয়ে আরো সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে পূজা উদযাপনের নির্দেশনা পেয়েছি।বাজেটও বৃদ্ধি করা হয়েছে। সে সাথে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে’’।

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ(ওসি) অংশু কুমার দেব জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গা পূজা উৎযাপনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিমা তৈরী কালীন সময়ে যাতে প্রতিমার কোন প্রকার ক্ষতি না হয় সেজন্য আয়োজক কমিটিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং পুলিশ প্রশাসনে টহল টিম সতর্ক রয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাদের ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করতে পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশা করছি প্রতি বছরের মতো এবারও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হবে।

Print Friendly, PDF & Email

এ জাতীয় আরও খবর

ঈদের পরে কঠোরতর আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ব : রিজভী

জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের আউটরিচ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে ভ’মিকা রাখতে হবে : মোকতাদির চৌধুরী এমপি

ঈদের আগেই সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবি

বাংলাদেশে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনে’ উদ্বেগ ইইউ পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্টের

ব্রাহ্মণবড়িয়ায় বাক-বিতন্ডার জেরে ছাত্রলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ