g এক সুন্দরী লিজার কেরামতিতে তোলপাড় বাঞ্ছারামপুরে একটি মাজারের সুনাম : এলাকায় টানটান উত্তেজনা | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

রবিবার, ২২শে অক্টোবর, ২০১৭ ইং ৭ই কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

এক সুন্দরী লিজার কেরামতিতে তোলপাড় বাঞ্ছারামপুরে একটি মাজারের সুনাম : এলাকায় টানটান উত্তেজনা

AmaderBrahmanbaria.COM
অক্টোবর ২০, ২০১৭
news-image

---

ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের কদমতুলী গ্রামের বহু প্রাচীন ও আধ্যাত্বিক সাধক কান্দু শাহ মাজারের কর্তৃত্ব নিয়ে দুইটি মহলের রশি টানাটানিতে বেকায়দায় মাজার কর্তৃপক্ষ ও বিভ্রান্তিতে পড়েছে ভক্তকূল।
বর্তমানে বাঞ্ছারামপুর সদরে ভাড়াবাড়িতে বসবাসরত রহস্যময়ী সুন্দরী লিজা (১৮)এর দুই রকম বয়ানের কারনে তোলপাড় শুরু হয়েছে কদমতুলীর কান্দু শাহ মাজারে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে খোজ নিয়ে জানা যায়,সাধক দয়াল বাবা কান্দু শাহ (র:) মূত্যূর ১৭ বছর ধরে মাজারের কর্তৃত্ব ও নের্তৃত্ব নিয়ে কান্দু শাহ-রই গোষ্ঠীর মধ্যে দুটি গ্রæপ সৃষ্টি হয়।এই নিয়ে অতীতে মামলা মোকদ্দমা হয়েছে।মাজার পরিচালনা কমিটি -সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে সেই সদস্যরাও পরিবর্তন হয় বলে জানা গেছে।মাজারটি বর্তমানে সরকারের আওতাধীন।মাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার হবার কথা থাকলেও মূলত মাজারের চাবি ও দৈনন্দিন জমাকৃত ভক্তদের অনুদানের টাকার ক্যাশ বাক্সটির চাবি রয়েছে একটি গ্রæপের হাতে।এই দুই গ্রæপের বিরোধ ২ যুগের বেশী সময় ধরে চলে আসলেও সম্প্রতি নারী ঘটিত একটি কেলেংকারীকে জের ধরে ঘটতে থাকে দখল-পাল্টা দখল।
সম্প্রতি (গত রোজার ঈদের আগের রাত/চাঁদ রাতে) মাজারের বেশ পুরাতন খাদেম মো.নুরুল ইসলামের চারিত্রিক স্বখলন হাতে নাতে এলাকাবাসীর কাছে ধরা পরার অভিযোগ ও এই নিয়ে বর্তমানে মাজারটি পরিচালনাকারী খাদেম নয়ন মিয়াসহ স্থানীয় এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ করে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.শওকত ওসমানের কাছে।তিনি তৎকালীন এসি ল্যান্ড মো.সোহাগ হোসেন কর্তৃক তদন্ত কমিটি করেন।অভিযুক্ত খাদেমকে কাগজে কলমে ‘ভালো’ বলা হলেও ও মাজারটি পরিচালনা নুরুল ইসলামকেই দেওয়া হোক বলা হলেও,স্থানীয় বাসিন্দা মমিনুল ইসলাম অপু,রাজিব,মামুন,মোস্তফা ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত খাদেম নয়ন ও ভক্তদের অনেকেই তা মানতে নারাজ এবং আজ এই প্রতিবেদককে বলেন,‘নুরুল ইসলামকে কোনভাবেই খাদেম রাখা যাবে না।তার চরিত্র ভালো নয় বলে আমরা তাকে মাজার হতে বের করে দিয়েছি।সে লিজা নামে একজন দুশ্চরিত্র নারীর সাথে রাতে মাজারের ভেতর ধর্ষন করে।মেয়েটির স্বীকারোক্তিও অডিও রেকর্ড আছে।এ সংক্রান্ত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে।এ ছাড়া তিনি(নুরুল ইসলাম)সখিনা নামে একজনকে বিয়ে করে সেই নারীর আগের পক্ষের মেয়ে শারমিনকে ফের বিয়ে করেন এই খাদেম।তিনি মাজারের কমপক্ষ্যে ২০ লাখ টাকার তহবিল নিজের পকেটে ভরেন।বর্তমান ইউএনও এ জন্যই আমাদের কাছে মাজারের চাবি হস্তান্তর করেছেন।’
অন্যদিকে,পুরাতন খাদেম নুরুল ইসলাম সহ তার পক্ষীয় ব্যক্তিরা দাবী করে বলেন,-‘এই অভিযোগ বানানো,মিথ্যা,বানোয়াট ও পরিকল্পিত।যে ‘লিজা’ নামে দেহপসরানী মেয়েটির কথা বলা হচ্ছে তাকে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত খাদেম নয়ন গং মোটা অংকের টাকা দিয়ে খাদেমের চরিত্রের উপর কালিমা লেপনের জন্য ভাড়া করা হয়েছে।যা লিজা নিজে স্বীকার করে প্রশাসনের কাছে জবানবন্দী দেয়ায় প্রশাসন লিখিত রিপোর্টে আগামী ওরশ পর্যন্ত নুরুল ইসলামকে খাদেম নিযুক্তের সুপারিশ করেন।ভারপ্রাপ্ত খাদেম আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে গত রমযানের ঈদের দিন গাছের সাথে বেধে রেখে চুল কেটে দিয়ে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে।নয়ন গং দের কোন অভিযোগের সত্যতা প্রশাসন পায়নি।প্রয়োজনে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিজা আবার যেয়ে তাকে টাকা দিয়ে সাজানো নাটকের ঘটনা বলবে।ইউএও সাহেব নয়নকে মাজারের চাবি দিয়ে ঠিক করেন নি।তিনি তদন্ত রিপোর্টটি ভালো করে পড়েন নি।’
সাবেক খাদেম দাবী করেন,-আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মাজারের চাবি যদি তদন্ত কমিটির সুপারিশনুযায়ী না দেয়া হয়,তবে আমরা আদালতে যাবো’।
সদ্য যোগদানকৃত বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শরিফুল ইসলাম বলেন-‘আমি অবিলম্বে মাজারটি পরিদর্শন করবো।বিস্তারিত জানবো।প্রয়োজনে আবার তদন্ত কমিটি করে সত্য উদঘাটিত করবো।গা’য়ের শক্তিতে কেউ যদি মাজার দখল করতে চায় সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে নিজেই মাজারের চাবি নিয়ে অস্থায়ী প্রশাসক নিয়োাগ দেয়া হবে’।

ফয়সল আহমেদ খান
১৯/১০/২০১৭
০১৯১৪৭৫৪৮৪১
ছবিটি সুন্দরী রহস্যময়ী ও দুশ্টরিত্র নারী লিজার

এ জাতীয় আরও খবর