শুক্রবার, ১৯শে জানুয়ারি, ২০১৮ ইং ৬ই মাঘ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

মুলতবির আবেদন খারিজ, কালও আদালতে যাবেন খালেদা জিয়া

AmaderBrahmanbaria.COM
জানুয়ারি ১৭, ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে আজ অন্য আসামিদের যুক্তিতর্ক হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালতে পৌঁছার পর পরই বিচারক ড. আখতারুজ্জামান মামলার শুনানি শুরু করেন। বিকেলে বিচারক আগামীকাল সকাল পর্যন্ত মামলা মুলতবি করেন।

এদিন এ মামলার আসামি কাজী সলিমুল হক ও শরাফ উদ্দিনের পক্ষে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন তাঁদের আইনজীবী আহসান উল্লাহ।

এ ছাড়া খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা মামলাটি কালকের জন্য মুলতবি রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী আদালতকে জানান, আগামীকাল খালেদা জিয়ার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী। এ জন্য মামলা মুলতবি রাখার আবেদন জানানো হয়।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত খালেদা জিয়াকে কালকের হাজিরা থেকে রেহাই দেন; তবে মামলার কাজ চলবে বলে জানান।

এদিন যুক্তিতর্ক তুলে ধরে আইনজীবী আহসান উল্লাহ বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ নিজেই বলেছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠান ট্রাস্ট আইন অনুযায়ী হয়েছে এবং ডিড হয়েছে। ট্রাস্টের নামে যে জমি কেনা হয়েছে, তা-ও প্রতিষ্ঠিত। এখান থেকে একটি টাকাও আত্মসাৎ করা হয়নি; বরং দুই কোটি টাকা এখন ব্যাংকে বৃদ্ধি পেয়ে ছয় কোটি টাকা হয়েছে।

এ নিয়ে কোনো মামলা হতে পারে না উল্লেখ করে আইনজীবী আরো বলেন, ‘হওয়ার ওপর এই মামলা হয়েছে। আমি আশা করি, এই মামলার সব আসামি খালাস পাবেন।’

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি। জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুন-অর-রশিদ।

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন—খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।