সোমবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০১৮ ইং ১৭ই বৈশাখ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

সেই মুন্নির জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ে

সিলেট প্রতিনিধি : দশ বছর আগে অজ্ঞাতনামা হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছিল বিপাশা আক্তার মুন্নিকে। এরপর থেকে তার আবাস ছিল সিলেটে সমাজসেবা অধিদফতর পরিচালিত শিশু পরিবারে (সেফ হোম)। সেখানেই বেড়ে ওঠা তার।

শুক্রবার সেখানেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছে মুন্নি।

সিলেট নগরীর রায়নগরস্থ শিশু পরিবারে আয়োজন করা হয় মুন্নির বিয়ের। তার বর সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বুড়াখালি রাজনগর গ্রামের মৃত আব্দুল আহাদের ছেলে আব্দুল লতিফ (২৭)। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে বরযাত্রী নিয়ে শিশু পরিবারে আসেন আব্দুল লতিফ। বিয়েতে তিনশ’ অতিথি আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।

মুন্নির বিয়েতে সিলেটের জেলা প্রশাসক নুমেরী জামান, সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেটের পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান, সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের স্ত্রী আসমা কামরান, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদম মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিমসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাজসেবা অধিদফতর সিলেটের উপ-পরিচালক নিবাস রঞ্জন দাস এবং শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক জয়তি দত্ত অতিথিদের স্বাগত জানান। অতিথিরা মুন্নির জন্য শাড়িসহ বিভিন্ন পণ্য এবং অর্থ উপহার প্রদান করেন। সবার উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কনে বিপাশা আক্তার মুন্নিকে নিয়ে সুনামগঞ্জে ফিরে যান বর আব্দুল লতিফ।

শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক জয়তি দত্ত জানান, মুন্নির বিয়ের জন্য কোনকিছুর কমতি রাখা হয়নি। জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ের আয়োজনে সকল ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়। মুন্নির বিয়ের জন্য তার বরের বাড়িতে গিয়ে সবকিছু দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বরের পরিবারের সদস্যরাও শিশু পরিবারে এসে মুন্নিকে দেখে যান।

শিশু পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় দশ বছর আগে সুনামগঞ্জের দিরাই থেকে বিপাশা আক্তার মুন্নিকে উদ্ধার করে পুলিশ। তখন তার বয়স ছিল প্রায় আট বছর। ওই সময় মুন্নি শুধু নিজের নাম এবং বাবার নাম জামাল মিয়া বলতে পারত। প্রথমে তাকে নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়। পরে শিশু পরিবারে ঠিকানা হয় মুন্নির।

Print Friendly, PDF & Email

এ জাতীয় আরও খবর

কাবুলে পর পর বোমা হামলা, নিহত ২১

ঝড়ো বাতাস, সব নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

চুপিসারে ‘বাগদান’ সারলেন রোনালদো!

সংরক্ষিত এলাকায় কয়লার স্তূপ, ভৈরবে হুমকিতে পরিবেশ

লিনের ব্যাটে কলকাতার জয়

‘মুক্তিযোদ্ধাদের মতো সাংবাদিকরাও সমাজের শ্রেষ্ঠ সন্তান’