বুধবার, ৯ই মে, ২০১৮ ইং ২৬শে বৈশাখ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

আগামীকালও খালেদার মুক্তির সম্ভাবনা দেখছে না বিএনপি

আগামীকাল মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের তারিখ থাকলেও মুক্তির সম্ভাবনা দেখছে না বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আগামীকাল বেগম খালেদা জিয়ার মামলার শুনানি রয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট যদি তার মামলার জামিন নিশ্চিত করে তবুও অন্য মামলায় শ্যোন এরেস্ট দেখানোর কারণে তিনি মুক্ত হবার সম্ভাবনা নাই। সরকার চাইলে তাকে নানা কারণেই জেলে আটকে রাখাতে পারেন। কারণ কুমিল্লার বিচারক খালেদা জিয়ার জামিনে আবেদনের পরবর্তী তারিখ দিয়েছে ১৫ মে অর্থাৎ তারা জানে যে ৮মে খালেদা জিয়ার জামিনে মুক্ত হয়ে যেতে পারেন। কথা হলো হাইকোর্টে জামিন দিলে সুপ্রিমকোর্টে আটকে যায়। সুপ্রিম কোর্ট জামিন দিলে লোয়ার কোর্ট আটকে যায়। অর্থাৎ সরকার চায়না বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হোক।

সোমবার (৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভি আই পি লাউঞ্জে বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি কতৃক আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া মুক্তি সুস্থতা, চিকিৎসা কোনোটিই সরকার চান না। যদিও অসুস্থ অবস্থায় সকল রাজবন্দীদের চিকিৎসা দেয়া হয় গতকালও দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার ও কারাবন্দি অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়াকে কোনো চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। সরকার বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি অমানবিক আচরণ করছেন। একদিকে তিনি সুবিচার পাননি তার যে বয়স তার যে শারীরিক অবস্থা তার যে সামাজিক মর্যাদা এসব সরকারের বিবেচনায় নাই।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন স্থগিত হয়েছে এই স্থগিত চেয়ে যিনি আবেদন করেছেন তিনি একজন আওয়ামী লীগ নেতা। এই আবেদনের বিপক্ষে নির্বাচন কমিশন জোরালো কোনো অবস্থান নেননি অর্থাৎ যিনি অর্থাৎ যিনি আবেদন করেছে সেই আবেদন যেন মঞ্জুর হয় সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন তাকে সাহায্য করেছেন। আওয়ামী লীগ যা চায় নির্বাচন কমিশন তার সহযোগিতা করেন। সেখানে আমরা যদি অভিযোগ করিও সেখানে দীর্ঘ তদন্ত হয় তদন্তের প্রয়োজন হয় আবার আবার সেই তদন্তের ফলাফল পেতে নির্বাচন শেষ হয়ে যায়। তাদের অভিযোগ কি সাথে সাথেই কার্যকর করার ব্যবস্থা নেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা বারবার বলেছি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা থাকা উচিত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ঠিক একইভাবে বাতিল করা হয়েছে। অর্থাৎ ঢাকা সিটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একই সূত্রে গাঁথা। সরকার অনুভব করেছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে তাদের জয়ের সম্ভাবনা নাই ঠিক তেমনি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে জয়ের সম্ভাবনা নাই।

ইতোমধ্যে মানুষ আলোচনা শুরু করেছে বিএনপি যদি জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে বলে এবং অংশগ্রহণ করে তাহলে যাতে নির্বাচন স্থগিত করা হতে পারে। কারন সেখানেও তাদের বিজয়ের কোন সম্ভাবনা নাই

বিএনপির এ নেতা বলেন, গণতন্ত্রের নিয়মই হলো কিছুদিন পর পর একটা ম্যান্ডেট নেওয়া অর্থাৎ জনগণের মতামত নেয়া জনগণের অনুমতি নেয়া আর সেটা হয় নির্বাচনের মাধ্যমে। আর যখন আমরা বলি নির্বাচন এ নির্বাচন হবে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।

Print Friendly, PDF & Email

এ জাতীয় আরও খবর

তুরিন অাফরোজকে ট্রাইব্যুনালের সকল মামলা থেকে বিরত ও প্রত্যাহার

বৃহস্পতিবারের মধ্যে গেজেট না হলে রোববার থেকে আন্দোলন

ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে ইউরোপের হতাশা ও ক্ষোভ

আবারও চীনে কিম, শি’র সঙ্গে বৈঠক

ঘুষের অভিযোগে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক কর্মকর্তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে ৫ দফায় অাইনজীবীদের হট্টগোল