বৃহস্পতিবার, ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইং ১২ই আশ্বিন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

পাঁচ সদস্যের এক পরিবারের জন্য ২৭ তলা বাড়ি, ৬০০ কাজের লোক!

নিজের স্ত্রী এবং তিন সন্তানের বসবাসের জন্য বানিয়েছেন ‘আন্তিলিয়া’ নামের একটি বাড়ি। তবে বাড়িটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ১০০ কোটি পাউন্ড! ২৭ তলাবিশিষ্ট এই বাড়িতে আছে তিনটি হেলিপ্যাড। আছে ৫০ আসনের একটি থিয়েটার। এমনকি কাজের জন্য আছে ৬ শতাধিক লোক।

বলছিলাম এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ভারতের মুকেশ আম্বানির কথা। মাত্র একটি পরিবার বসবাসের জন্য সম্ভবত বিশ্বে কোথাও এত বড় বাড়ি, এমনকি তাদেরকে দেখাশোনার জন্য এত কাজের লোক আর কোথাও নেই।

আম্বানির এই বাড়িতে বিলাসিতার জন্য আছে বহুতলবিশিষ্ট বাগান এবং বিস্ময়কর পানির ফিচার। ২৭ তলার এই ভবনটির বৈশিষ্ট হলো প্রতিটি তলার সিলিং এক একটি এক একদিকে বের করে দেওয়া। লবি থেকে আছে ৯ টি এলিভেটর বা লিফট। অতিথিদের বিনোদনের জন্য আছে একটি গ্রান্ড বলরুম।

এছাড়া অ্যাপার্টমেন্টের একপ্রান্তে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে সুইমিং পুল। ৬ষ্ঠ তলা পর্যন্ত রয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। সেখানে রাখা যায় মোট ১৬০টি গাড়ি। আর বাড়িটি দেখাশোনা, পরিষ্কার করতে রয়েছেন ৬ শতাধিক স্টাফ। তারা ২৪ ঘণ্টা পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করেন।

এই বাড়িটিতে যে পরিমাণ প্রযুক্তিগত সম্পদ রয়েছে তার চেয়ে মাত্র একটি আবাসিক ভবনে বেশি খরচের প্রযুক্তি আছে। আর সেটা হলো বাকিংহাম প্যালেস। কিন্তু বৃটেনের রাজপরিবারের এই বাড়ি হলো ক্রাউন ল্যান্ড বা রাজকীয় জমিতে। কিন্তু মুকেশ আম্বানির বাড়ির মালিক শুধু তিনি নিজে।

মুকেশ আম্বানি চলাচল করেন নিজের এয়ারবাস জেটে। এছাড়া একটি বিশাল বিস্তৃত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকও তিনি। আর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) একটি টিমের মালিকও।

রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান হওয়ার পর তিনি ভারতের শীর্ষ ধনীর খেতাব পান। জুলাই মাসে তার সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৫০০ কোটি ডলার বা ৩৪০০ কোটি পাউন্ড।

মুকেশ আম্বানির বাড়ি নিয়ে ২০১০ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমসে লেখক জ্ঞান প্রকাশ বলেছিলেন, এ বাড়িটি হলো আকাশ ছোঁয়ার গেট। ধনীরা কিভাবে শহর থেকে দূরে মুখ রাখতে চান, বাস করতে চান তারই ভাবমূর্তি ফুটে উঠেছে এই বাড়িতে।

সমুদ্রের দিকে মুখ করে বানানো হইছে।

প্লট সাইজ (48,780 sq ft)(মোটামুটি একটা ফুটবল খেলার মাঠ )

মোটা মুটি ১০ স্কয়ার ফুট জমির দাম মাত্র ১০,০০০ ইউ.এস ডলার। পুরাটার দাম আপনে হিসাব কইরা লন।

এটার পুরা লিভিং স্পেস ৪০০,০০০ স্কয়ার ফিট।

১৬৮ টা গারি পার্ক করা যাবে।

একটা ফ্লোর শুধু গাড়ি মেইনটেনেন্স এর জন্য বরাদ্য করা আছে।

নয়টা লিফট দেয়া আছে লিফ্ট লবিতে।

তিনটা হেলিপেড সাথে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল।( উনি নাকি হেলিকপ্টারে করে অফিসে আসেন আবার হেলিকপ্টারে করে বাসায় যান। গারিতে করে চললে টাইম নস্ট হয়।)

আছে হেল্থ স্পা, যোগ ব্যায়াম করার জায়গা, ছোট থাটো একটা সিনেমা হল যেখানে বসে ৫০ জন লোক মুভি দেখতে পারবে।