রবিবার, ২৮শে অক্টোবর, ২০১৮ ইং ১৩ই কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

২০ দলীয় জোট ত্যাগ করলো লেবার পার্টির একাংশ

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ত্যাগের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ লেবার পার্টির একাংশ। এই অংশের মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী জাগো নিউজকে এ কথা জানিয়েছেন।তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নামে ১/১১-এর কুশিলবদের অপতৎপরতা ও ২০ দলীয় জোটকে অকার্যকর করার প্রতিবাদে আমরা জোট ত্যাগের এই সিন্ধান্ত নিয়েছি।শুক্রবার সকালে লেবার পার্টির এই অংশের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দলের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই বৈঠক হয়।’

২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর বাংলাদেশ লেবার পার্টি ভেঙে যায়। দলের চেয়ারম্যান পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানকে। তবে পাল্টা দলের মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদীকেও বহিষ্কার করেন ডা. ইরান। এরপর থেকে দলটি দুই অংশে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে।২০ দলীয় জোট ত্যাগের বিষয়ে হামদুল্লাহ আল মেহেদী বলেন, ‘বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোটকে সম্প্রসারণ করে ১৮-দলীয় জোট যা পরবর্তীতে ২০-দলীয় জোটে রূপান্তরিত হয়। এ জোটের শরিক হিসেবে আমরা আমাদের সাধ্যমতো অবদান রাখায় সচেষ্ট ছিলাম। গত ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর লেবার পার্টির তৎকালীন চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানকে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও জামায়াতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় দলের আদর্শ ও দেশবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর এমদাদুল হক চৌধুরীকে চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়। দলের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ আমাদের সঙ্গে থাকলেও বিএনপি ইরানের অংশকেও জোটে রেখে দেয়।’

‘আমরা অপমানিত হলেও দেশ-জাতি ও গণতন্ত্রের স্বার্থে বিষয়টিকে মেনে নিয়েই জোটের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জোটের প্রার্থীর বিপক্ষে ইরান সরাসরি নির্বাচনের মাঠে থাকলেও জোটের প্রধান দল তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি বিএনপির জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা অব্যাহত থাকলে আমরা তা পর্যবেক্ষণ করছিলাম। গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যের নামে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামক একটি জোটের আত্মপ্রকাশ করতে গিয়ে বিএনপি ও তার নতুন বন্ধুরা যেসব ঘটনার অবতারণা করেছেন তা সত্যই দুঃখজনক ও হতাশাব্যঞ্জক।’