বুধবার, ১৪ই নভেম্বর, ২০১৮ ইং ৩০শে কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান পতিতালয় বানানোর পাঁয়তারা ? ( ভিডিও সহ )

Vowal-National-park-300x181ডেস্ক রির্পোট : আলোর নিচে অন্ধকার। গাজীপুরের বন বিভাগের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। রাজধানীর পাশেই প্রায় আড়াই হাজার একর বিশাল বনভূমির ওপর ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানটি।

সেই উদ্যানে যা হচ্ছে তা বিবেককে দারুণভাবে নাড়া দেয়। সেই চিত্র সরজমিনে তুলে ধরেছে একুশে টেলিভিশনের গাজীপুর প্রতিনিধি অপূর্ব রায়  সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান  গতকাল বৃহস্পতিবার চ্যানেলটি সচিত্র প্রতিবেদটি সম্প্রচার করেছে। উক্ত প্রতিবেদটি  আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হল ।

বন বিভাগে প্রায় ৬৫ একর জমির মধ্যে প্রায় ১২ হাজার বেহাত হয়েছে অনেক আগেই। বাকি ছিল শুধু ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের জমিটুকুই।

এই বনে একসময় বাঘ-ভল্লুক থেকে শুরু করে বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর বাস ছিল। কিন্তু এখন ভূমিদস্যুদের দাপটে বন্যপশুরাই ভয়ে পালাতে শুরু করেছে। তাদের শেল্টারে বারবণিতাদের আনাগোনা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মনোরঞ্জনের জন্য রয়েছে ছোট ছোট খুপড়ি ঘর।

সেই খুগড়ি ঘরে স্বামী-স্ত্রী কিংবা বন্ধু-বান্ধবী পরিচয়ে চলে যতসব অপকর্ম। ঘণ্টায় বা দিন হিসেবে ভাড়া নিয়ে যে যার মত অবস্থান করে খুপড়ি ঘরে। আর জঙ্গলে চলে ওপেন সিক্রেট যত অপকর্ম। অসামাজিক কাজের সুন্দরী রমনীরা প্রকাশ্যেই দাম কষাকষি করে
খদ্দেরের চাহিদা মেটায়। এ যেনো এক মিনি পতিতালয়।

স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের অভিযোগ, ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান লিজের নামে পতিতালয় বানানোর পাঁয়তারা চলছে। অসামাজিক কার্যকলাপের টাকা পকেটে পুরে বনবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েক কর্মকর্তা। তারা এসব দেখেও না দেখার ভান করে।

বনের তিন নম্বর গেটের আরেক নাম ‘ভিআইপি গেট’। গেটের পাশেই সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে বেশ কয়েকটি কটেজ আর রেস্ট হাউজ নির্মাণ করেছে। এখানে ভিআইপিদের রেস্ট নেয়ার কথা থাকলেও আশ্রয় নেয় সুন্দরী সুন্দরী রমনীরা।

বনের আরো ভেতরে ঢুকলে এর চেয়ে সুন্দরীদের দেখা পাওয়া যাবে। কিন্তু তাদের ফাঁদে পা দিলে অবস্থাটা যে কি হবে তা কিন্তু বলা মুশকিল।

অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য প্রত্যেক পতিতাকে ইজারাদারদের দিতে হয় দেড় হাজার টাকা। এখান থেকে পাঁচশ’ টাকা চলে যায় বনবিভাগের কর্মকর্তা বজলুর রহমানের পকেটে।

সুত্র : একুশে চোখ