[bangla_day], [english_date] [bangla_date]

সংসদে আইন পাস : সেনানিবাসে ভিক্ষা করলে জরিমানা ২০০০০ টাকা

সেনানিবাস এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি, মাতলামি কিংবা মল-মূত্র ত্যাগের শাস্তি এতদিন এক টাকা জরিমানা না করা হলেও এখন থেকে কেউ এই ধরনের কাজ করলে ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। প্রায় ১০০ বছর আগের ‘ক্যান্টমেন্টস অ্যাক্ট-১৯২৪’ নতুন করে প্রণয়ন করতে ‘সেনানিবাস বিল-২০১৭’ গতকাল বুধবার সংসদে পাস হয়েছে, যাতে শাস্তির এই মাত্রা দাঁড়িয়েছে। সংসদে বিলটি ‘সেনানিবাস বিল’ নামে উত্থাপন করা হলেও সংসদীয় কমিটির সুপারিশে নাম পরিবর্তন করে ‘ক্যান্টনমেন্ট বিল’ নামে এটি পাস হয়।

নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির যুক্তি ছিল, ‘ক্যান্টনমেন্ট’ শব্দটি থাকলে তিন বাহিনীকেই বোঝাবে; ‘সেনানিবাস’ নামটি দিয়ে শুধু সেনাবাহিনীকে বোঝায়। সংসদ কাজে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দয়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এদিন বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করেন। এটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। পাসের আগে বিলের ওপর বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্যদের জনমত যাচাই, বাছাই ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলোও কণ্ঠভোটে নিষ্পত্তি করা হয়।

নতুন আইনে বাংলাদেশের যে কোনো সেনানিবাস এলাকায় রাস্তাঘাটে মল-মূত্র ত্যাগ, জুয়া খেলা, মাতলামি, ভয়ভীতি প্রদর্শন, খোলা অবস্থায় মাংস বহন, এলোমেলোভাবে গাড়ি পার্কিং, অনাবৃত রেখে বিকলাঙ্গতা ও ব্যাধি প্রদর্শন, ভিক্ষাবৃত্তির শাস্তি ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে।

১৯২৪ সালের ‘ক্যান্টনমেন্টস অ্যাক্ট’-এর ২৯২টি ধারা থেকে কিছু অংশ বাদ দিয়ে এবং নতুন কিছু সংযোজন করে মোট ২১৮টি ধারা রাখা হয়েছে নতুন আইনে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গত বছরের ১৪ নভেম্বর ১৯২৪ সালের তৈরি ক্যান্টনমেন্ট আইনটি যুগোপযোগী করতে সেনানিবাস আইন নামে একটি বিল সংসদে উত্থাপন করা হয়। পরে তা যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটি বেশ কয়েকটি বৈঠক করে বিলটিতে ব্যাপক সংযোজন ও বিয়োজন করে। বিশেষ করে বিলের নাম পরিবর্তন করে সেনানিবাস বিলের পরিবর্তে রাখা হয় ক্যান্টনমেন্ট আইন-২০১৮। কমিটির সুপারিশসহ বিলটি পাস হয়েছে।

বিলে সংসদীয় কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে, প্রত্যেক ক্যান্টনমেন্টে বোর্ডের জন্য একজন এক্সিকিউটিভ অফিসার থাকবেন। সরকার আবশ্যক মনে করলে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা কোনো নৌঘাঁটি বা বিমানঘাঁটির জন্য বোর্ড গঠন করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে এই আইনের বিধানাবলি, প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সাপেক্ষে ওইরূপ বোর্ডের জন্যও প্রযোজ্য হবে।

বিলের ১৯ দফার পরিমার্জন করে বলা হয়েছে, কোনো ক্যান্টনমেন্ট বা অধিকাংশ অংশ কোনো সিটি করপোরেশন বা পৌর সভার নির্ধারিত এলাকার মধ্যে অবস্থিত হলে বা কোনো ক্যান্টনমেন্ট যে সিটি করপোরেশন বা পৌর সভার নিকটতম ওই ক্যান্টনমেন্টের বোর্ড ওই সিটি করপোরেশনের অনুরূপ যথাক্রমে একটি সিটি করপোরেশন বা একটি পৌরসভা হিসেবে গণ্য হবে। সিটি করপোরেশন বা পৌর সভার অধীন এলাকায় নাগরিকদের যেরূপ পৌর সুবিধা দেয়া হয় বোর্ড যত দূর সম্ভব সেরূপ সুবিধাদি ক্যান্টনমেন্টের বাসিন্দাদের দিবে।

পরোয়ানা ছাড়া গ্রেফতার প্রসঙ্গে বিলে বলা হয়েছে, এই আইনের বিধান লঙ্ঘন করে কোনো অপরাধ সংঘটিত করার কারণে ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্য বিনা পরোয়ানায় কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারবে না। বিলে আরো বলা হয়েছে, ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে অসামরিক পুলিশ কর্তৃক কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্টেশন কমান্ডারকে জানাতে হবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে ইংরেজিতে প্রণীত আইনগুলো বাংলায় ভাষান্তরে মন্ত্রিসভার নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং ক্যান্টনমেন্ট অ্যাক্ট-১৯২৪ হালানাগাদ করতে আইনটি করা হয়েছে।

এ জাতীয় আরও খবর

রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ৮০০ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে এডিবি

‘বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রকাশ হবে’

প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চায় তরিকুলের পরিবার

একনজরে ঢাকা ও কোলকাতার পত্রপত্রিকার সব গুরুত্বপূর্ণ খবর

২০২০-২১ সালকে ‘মুজিব বর্ষ’ ঘোষণা

বিশাল পরাজয় টাইগারদের