বুধবার, ১৮ই জুলাই, ২০১৮ ইং ৩রা শ্রাবণ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

কারচুপি হলে হরতালের হুমকি বিএনপির

ডেস্ক রিপোর্ট : ২৫শে জুলাই অনুষ্ঠিতব্য কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে কোনো ধরনের ভোট কারচুপি, কেন্দ্র দখল, ভোটদানে বাধা প্রদান কিংবা সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটানো হলে রোহিঙ্গা ক্যামপ অধ্যুষিত এলাকায় টানা ৪ দিনের হরতালের হুমকি দিয়েছে কক্সবাজার জেলা বিএনপি।

গতকাল দুপুরে কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী অঙ্গীকারনামা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে জেলা বিএনপি সভাপতি ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী এ হুমকি দেন। সকাল ১১টায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে স্থাপিত  ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলামের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। ওই সংবাদ সম্মেলনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ড এলাকায় ৩টি ভোট কেন্দ্রে ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের ঘোষণাকে বিএনপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির মৎস্যজীবী বিষয়ক সমপাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল প্রশ্ন তুলেন, ইভিএম সিস্টেমে ভোট শুধু ১১ নম্বর ওয়ার্ডে কেন? সেটা ২ নম্বর ওয়ার্ডে নয় কেন? তিনি মনে করেন, যেহেতু ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি প্রার্থীর ওয়ার্ড সেহেতু ওই ওয়ার্ডে ইভিএম সিস্টেমের মাধ্যমে ভোট কম কাস্টিং করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা লুৎফুর রহমান কাজল ও জেলা বিএনপি সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী পৌর নির্বাচনে শুধুমাত্র ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ইভিএম সিস্টেম বাতিল করে প্রতিজন মেয়র প্রার্থীর নিজস্ব এলাকায় অন্তত একটি করে কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম তার ১৩টি নির্বাচনী অঙ্গীকারনামা উপস্থাপন করেন। ১৩টি অঙ্গীকারের ১৩টি শিরোনামও দেয়া হয়েছে। বিএনপি প্রার্থীর ১৩টি নির্বাচনী অঙ্গীকারের শিরোনাম হলো- পরিচ্ছন্ন শহর, জলাবদ্ধতা নিরসন, মেয়রের দপ্তর হবে জনতার, পৌর সেবার বিকেন্দ্রীকরণ, শিক্ষা উদ্যোগ, ডিজিটাল শহর, পর্যটন সেবা, আবাসন প্রকল্প, যানজটমুক্ত শহর, সহনীয় কর নির্ধারণ, দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত এবং সুপেয় পানি সরবরাহ।

তিনি বলেন, আমি মেয়র নির্বাচিত হলে আগামী ৫ বছরে যদি এই অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে না পারি তাহলে আগামীবার ভোট চাইলে সেই প্রশ্ন তুলতে পারবেন ভোটাররা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তাগণ সরকারদলীয় মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও শতাধিক নির্বাচনী ক্যামপ অফিস করার মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতারা জানান, পৌরসভা নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপি এবং সহিংসতার চেষ্টা করা হলে কঠিনতর আন্দোলনের কর্মসূচিতে যেতে পারে বিএনপি। এই সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সমপাদক এড. শামীম আরা স্বপ্না, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও পৌর বিএনপির সাধারণ সমপাদক রাশেদ মো. আলী, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী প্রমুখ। – মানবজমিন

এ জাতীয় আরও খবর

ওনাদের এত ভয় কিসের: নজরুল ইসলাম খান

ভল্ট থেকে স্বর্ণ হেরফের হয়নি: বাংলাদেশ ব্যাংক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাস খাদে পড়ে আহত ১২

বিএনপির আন্দোলন এখন কোটা আন্দোলনের কাঁধে ভর করেছে: ওবায়দুল কাদের

এক বেদুইনের দোয়ায় জান্নাত লাভের সৌভাগ্য!

খালেদা জিয়া অসুস্থ, পেছাল যুক্তি উপস্থাপন