বৃহস্পতিবার, ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইং ১২ই আশ্বিন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

দুর্বল হয়ে পড়েছে হারিকেন ফ্লোরেন্স, দুর্যোগের আশঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের দিকে ধেয়ে আসতে থাকা হারিকেন ফ্লোরেন্স দুর্বল হয়ে দুই মাত্রার ঝড়ে পরিণত হয়েছে। তবে এর প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস ও ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে দেশটির ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি)।
বুধবার আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রটি জানিয়েছে, ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৭৫ কিলোমিটার বাতাগের বেগ নিয়ে ফ্লোরেন্স সাউথ ক্যারোলাইনার মার্টল বিচ থেকে ৫২০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি ধীর গতিতে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে, যাতে বিপর্যয়কর বন্যার সৃষ্টি হতে পারে।

বৃহস্পতিবার ফ্লোরেন্সের কেন্দ্রটি নর্থ ও সাউথ ক্যারোলাইনার উপকূলে কাছে পৌঁছবে,এরপর বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার এটি আরও অগ্রসর হয়ে নর্থ ক্যারোলাইনার দক্ষিণ ও সাউথ ক্যারোলাইনার পূর্ব উপকূলের কাছে অথবা উপরে অবস্থান করবে বলে জানিয়েছে এনএইচসি।
বিবিসি জানিয়েছে, নর্থ ক্যারোলাইনা, সাউথ ক্যারোলাইনা ও ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে ১৭ লাখের বেশি মানুষকে এরইমধ্যে নিরাপদ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সাউথ ক্যারোলাইনার চারটি সড়ককে একমুখী করা হয়েছে, যাতে সরিয়ে নেওয়ার কাজটা ত্বরান্বিত হয়।

বুধবার জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে ক্যারোলাইনা, ভার্জিনিয়া, মেরিল্যান্ড ও ওয়াশিংটন ডিসিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ‘ক্যারোলাইনা উপকূলের বেশির ভাগ অংশে যে জলোচ্ছ্বাস হবে, তা হয়তো এর আগে কখনো হয়নি।’
ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির কর্মকর্তা জেফ বায়ার্ড বলেন, ‘ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও অভ্যন্তরীণ বন্যায় যে ক্ষয়ক্ষতি হবে, তা আমি বলার মতো ভাষা পাচ্ছি না। ক্যারোলাইনা উপকূলের অবস্থা মাইক টাইসনের ঘুষি মারার মতো।’

বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটারে সবাইকে সতর্ক করে বলেন, ‘বের হয়ে যান, এটা নিয়ে খেলবেন না।’ তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বড় (হারিকেন)।’
এর আগে আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ২০ থেকে ৪০ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হতে পারে এবং ১৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হতে পারে। ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস পূর্বাভাসে বলেছে, আকস্মিক বন্যা হতে পারে। এছাড়া ক্যারোলাইনা ও অ্যাপালাচিয়ান্স পার্বত্য এলাকার নদীতে প্লাবন দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের পরিচালক কেন গ্রাহাম সতর্ক করে বলেছেন, অভ্যন্তরীণ অঞ্চলে ৪০ মাইল পর্যন্ত প্লাবিত হবে।