বিয়ে করে একজন গরীবের মেয়েকে বউ করে এনেছিলাম, তারপর…
দেখতে দেখতে অভাবের সংসারে আজ একটা বছর হয়ে গেল। আজ সকালে রিক্সা নিয়ে বের হবার আগে বউ যখন রান্না ঘরে গেল তখন বউকে না জানিয়ে লুকিয়ে রাখা মাটির ব্যাংকটা বের করে ভেঙ্গে দেখলাম সেখানে প্রায় ৪৮০ টাকা হয়েছে।বাসা থেকে বের হবার আগে বউকে বলেছিলাম, আজ বাড়িতে ফিরতে দেরী হবে! বউ মাথা নাড়ে, বলে ভালো কইরা থাকবেন। চলে গেলাম রিকশা নিয়ে সারাদিন রিক্সা চালিয়ে সন্ধ্যা সাতটায় মার্কেটে গিয়েছিলাম বউয়ের জন্যে একটা শাড়ী কেনার জন্য। আজ রাতে বউকে দিব।
ঘুরে ঘুরে অনেক শাড়ীই দেখছিলাম, পছন্দ হয় কিন্তু দামের জন্য বলতে পারিনা। অবশেষে দোকানীকে বললাম, –ভাই এই কাপড়টার দাম কত? –১৫০০ টাকা। আমার কাছে তো আ ছে মাত্র ৪৮০ টাকা। তাই ফিরে আসলাম।মার্কেট থেকে বের হয়ে বাহিরে বসে থাকা দোকানদারদের থেকে ৪৮০ টাকায় একটা শাড়ী কিনে নিয়ে বাড়িতে চলে আসি। মাঝে মধ্যে ভাবি, এই দোকানগুলো যদি না থাকত, তাহলে কত কষ্ট হত আমাদের মত গরিবদের! ফুরফুরে মেজাজে বাড়িতে ঢুকলাম। অনেকদিন পর বউকে কিছু একটা দিতে পারব, ভাবতেই বুকটা খুশিতে ভরে উঠছে বারবার। রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পরার ভান করে শুয়ে আছি। বারটা বাজার অপেক্ষায় চোখ বন্ধ করে আছি।
কল্পনার জগতে ভাসছিলাম, বউকে দেবার পর বউ কি বলবে, কতটা খুশি হবে? রাত বারটা বেজে গেল…। বউকে ডেকে তুললাম। ডেকে তুলে বউয়ের হাতে শাড়ীটা তুলে দিয়ে বললাম, বউ অভাবের তাড়নায় তোমায় কিছু দিতে পারিনা, তাই আজ তোমার শাড়িটা এনেছি। তোমার কি পছন্দ হয়েছে?? বউ চোখের জল ফেলে, আমায় জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলো আমার কিছুই চাই না, আমি শুধু আপনার ভালোবাসা চাই। সত্যি এটাই হলো প্রকৃত ভালোবাসা….. ফেসবুক থেকে সংগৃহী