কেশপুরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে আহত ৫০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আবারো সংবাদ শিরোনামে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর। বাম জামানায় অশান্তির ঘটনায় তেতে থাকত কেশপুর। লোকসভা ভোটের সময়ও কেশপুরে অশান্তির ছবি সামনে এসেছে। ভোটের পর সেই কেশপুরেই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সংঘর্ষে জড়িতরা তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থক বলে খবর। পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুর এলাকায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষদের সভা ছিল। সভাস্থলে যাওয়ার পথে কেশপুরে একটি বাসে কয়েকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই হামলা থেকেই সংঘর্ষের ঘটনা বাধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, এ ঘটনায় দু’পক্ষের ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে কেশপুর থানায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি সমর্থকরা। শনিবার কেশপুরের সভায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পুলিশকে নিশানা করে বলেন, ‘‘আজও এখানে (কেশপুরের সভা) আসার পথে আমাদের ৪০-৫০ জন লোককে থানায় ঢুকিয়েছে, লাঠিপেটা করছে। পুলিশকে বলছি অভ্যাস পাল্টান, দিন কিন্তু পাল্টে গেছে’’। দিলীপ আরও বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পুলিশের… সেদিন টিভিতে দেখলাম একজন পুলিশকে ধাক্কা মেরে ঝোপের মধ্যে ফেলে দিয়েছে, কারণ গাড়ি দাঁড় করিয়ে চাঁদা তুলছিল পুলিশ। কেন পুলিশকে ভয় পাবে? পুলিশের দুরবস্থা হচ্ছে এখন। লোকের কাছে মার খেতে হচ্ছে। আমার মনে হয় এবার বাড়িতে বউয়ের কাছেও মার খাবে পুলিশ’’।
এদিকে, গ্রাম দখলকে ঘিরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মঙ্গলকোটের ন’পাড়া ও সাকোনা গ্রাম। ওই এলাকায় রাতভর বোমাবাজি-গুলি চলে। পুলিশকে লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। দুষ্কৃতীদের রুখতে পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ, দাবি এলাকাবাসীদের একাংশের। অন্যদিকে, শনিবার সাতসকালে ব্যান্ডেল স্টেশনে তৃণমূল নেতা দিলীপ রামকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস