g আপনার সঙ্গীটি কী ভার্জিন? | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

সোমবার, ৬ই নভেম্বর, ২০১৭ ইং ২২শে কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

আপনার সঙ্গীটি কী ভার্জিন?

AmaderBrahmanbaria.COM
জানুয়ারি ৫, ২০১৬

---

330911eলাইফস্টাইল ডেস্ক : পৃথিবীর অধিকাংশ মহিলাই প্রেমিক বা স্বামীর কাছে নিজেকে ভার্জিন (কুমারী) বলেই তুলে ধরতে পছন্দ করেন৷ বিষটি খুব স্বাভাবিক ব্যাপার৷ কেউ কি আর চাইবেন নিজেকে ‘খারাপ’, ‘দুশ্চরিত্র’ বলে জাহির করতেই চাইবে না? আমাদের দেশে ভার্জিন না থাকাটা পাপ, ঘোর অন্যায়। মহিলা তো বটেই পুরুষও চান না, তার সম্বন্ধে প্রেমিকা বা তার স্ত্রী খারাপ ধারণা পোষণ করুন৷ কিন্তু বাস্তব চিত্রটি বড়ই বিচিত্র৷
অনেক সময় পুরুষরা মহিলাদের সতীত্ব ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে চান। এক্ষেত্রে তাদের ধারনা সতিচ্ছেদ ঠিক থাকলে সঙ্গিনী সতী। কিন্তু এই ধারনা একেবারেই ভুল। সতীচ্ছেদ ছিড়ে গেলে সেটা যে কোন পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কারণেই হয়েছে এই ধারনা একেবারেই অমূলক। অনেকে ধারনা প্রথম মিলনে সতীচ্ছেদ ছিঁড়ে রক্তপাত হয়। এটা ঠিক নয়। অনেক মেয়ের সতীচ্ছেদ পূর্বে ছিঁড়ে না থাকলেও প্রথম মিলনে ছিঁড়তে পারে কিন্তু রক্তপাত হয় না। এক্ষেত্রে শরীরে রক্তশূন্যতা বা মাসিক পিরিয়ডের পরও হতে পারে। যখন রক্তপাত পুরাপুরি বন্ধ থাকে।
জেনে নিন ভার্জিন কত প্রকার
১. ১০০ শতাংশ খাঁটি, বিশুদ্ধ ভার্জিন
সোজা পাঁচ-ছয়ের দশক থেকে এদের আগমন৷ কস্মিনকালে কোনও পুরুষের হাতটিও ধরেননি, বাকিটা তো দূরের কথা। পাঁচ-সাতের দশকে বা তারও আগে এমন ভার্জিন পাওয়া যেত ঘরে ঘরে। এখনও পাওয়া যায়। কিন্তু সে সংখ্যাটা কম৷ বাবা-মায়ের অসম্ভব বাধ্যের। গুরুজনের অনুমতি ছাড়া কোনও পুরুষের সঙ্গে প্রকাশ্যে কথাও বলেন না তারা। তাই সাবধান! এমন নারীকে প্রেম প্রস্তাব দেওয়ার আগে ভেবেচিন্তে এগোবেন। আগে বাড়ির লোকের অনুমতি নেওয়া মাস্ট। বিয়ের কথাটাও সেরে রাখুন।
কেননা, এমন ভার্জিনকে পাওয়ার একটাই রাস্তা। বিয়ে। জেনে রাখবেন বিয়ের আগে এঁদের ‘পাওয়া’ প্রায় অসম্ভব ৷ যদি সত্যিই বিয়ে করার জন্য মনস্থির করেন, তবেই এগোবেন ৷
২.দুষ্টু ভার্জিন
এদের কনসেপ্ট – বিয়ে পর্যন্ত কে অপেক্ষা করবে ? তবে যাই হোক, আসল কাজটা নট অ্যালাউড। ওসব রিস্কের মধ্যে নেই৷ এরা গোপনে কিছুটা এগোন বই কী৷ কিন্তু ওই একটি জিনিস বাদ দিয়ে। সেটা হতে পারে একমাত্র বিয়ের পর। প্রেমিকের সঙ্গে বাকিটুকুতে মত আছে৷ ওই চুমুটুমু খাওয়া আর কী ৷ খুব রোম্যান্টিক মেজাজে থাকলে আরও কিছুটা এগোতে পারে৷ দেহের সর্বাঙ্গে শিহরণেও তখন খুব একটা আপত্তি থাকে না৷ কিন্তু ব্যাস৷ ওই একটি জায়গায় গিয়ে ব্রেক ৷ তারপর “না”৷ এদের সাথে প্রেম করতে হলে ধৈর্য ধরতে হবে৷ জেনে রাখবেন সবটুকু পেতে গেলে, বিয়ে কিন্তু মাস্ট ৷
৩.ননভেজ ভার্জিন
এরা এককথায় লাকি৷ কিছুদিন বন্ধ থাকলেই সবকিছু যেন সেই আগের মতো৷ নতুন আনকোড়া৷ ফলে কারোর বোঝার উপায় থাকে না, যে ইনি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন, না অনভিজ্ঞ৷ ভাবপ্রকাশেও অবিকল সেই আগের ঘটনার রিপ্লে৷ নতুন বয়ফ্রেন্ডের কাছে নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ৷ ফলে বোঝে কার সাধ্য৷ ইঙ্গিত পেলে, এগোতে পারেন৷ সম্মতি পেলে, এগিয়ে যান৷
তবে কোনওমতেই জোরজবরদস্তি নয়৷ আজকাল আইনকানুন খুব শক্ত৷ ভুলচুক হয়ে গেলে বিপদে পড়বেন।
সতীচ্ছদ সম্পর্কিত বাস্তব বিষয়গুলি হলো –
১. প্রত্যেক ১০০০ মেয়ে বাচ্চার মধ্যে কমপক্ষে ১ জন ভুমিষ্ট হয় সতিচ্ছেদ ছাড়াই।
২. ১০০ জনের ভিতর ৪০ জন নারী প্রথম বার মিলনে রক্তপাত হয় না।
৩. সাঁতার, খেলাধূলা বা অন্য কোন কারণে সতীচ্ছেদ নষ্ট হতে পারে।
৪. সতীচ্ছেদে একটি ছোট ছিদ্র থাকে।যেটি ( periods )মাসিকের সময় period pain ও রক্ত ধারা প্রবাহিত হওয়ার জন্য স্বভাবিক থেকে একটু বড় হয়।
৫. যদি টেমপন’ ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তবে সতীচ্ছেদ ছিঁড়ে যেতে পারে।
৬. সতীচ্ছেদ ছিঁড়লেই যে রক্ত ক্ষরণ হবে এমন বাধ্যবধকতা নেই। রক্তক্ষরণ ছাড়াই সতীচ্ছেদ ছিঁড়ে যেতে পারে।

এ জাতীয় আরও খবর