সোমবার, ১০ই এপ্রিল, ২০১৭ ইং ২৭শে চৈত্র, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

থানার ইট খুলে নেয়ার হুমকি কসবা ছাত্রলীগ নেতাদের শোকজ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের

AmaderBrahmanbaria.COM
এপ্রিল ৩, ২০১৭

আমিরজাদা চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানায় ঢুকে পুলিশ কর্মকর্তাদের হুমকী-ধামকী দেয়ায় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে কারন দর্শাতে বলেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এ জন্যে ৪৮ ঘন্টা সময় দেয়া হয়েছে। রবিবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক স্বাক্ষরিত কারন দর্শাও নোটিশটি দেয়া হয়। এতে বলা হয়-‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, গত ৩১/০৩/২০১৭ইং তারিখ, শুক্রবার, রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানায় অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। সেখানে আপনাদের মোঃ মনির হোসেন (সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কসবা উপজেলা শাখা) ও মোঃ আফজাল হোসেন রিমন (সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কসবা উপজেলা শাখা) কে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে আপনাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবেনা তা আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কারন দর্শাতে নির্দেশ দেয়া হলো’। তবে থানা অভ্যন্তরে দাঁড়িয়ে হুমকী দেয়ার ঘটনায় কসবা থানা পুলিশ এখনো কোন ব্যবস্থা নেয় নি। মাদকসেবী এক ছাত্রলীগ কর্মী আটকের জেরে ৪০/৫০ জন নেতাকর্মী নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারন সম্পাদক শুক্রবার রাতে থানায় হানা দেন। তারা থানার একটি একটি ইট খুলে ফেলার হুমকি দেয়। থানার প্রধান ফটকে লাথি মেরে ভেতরে ঢুকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে অসৌজন্য মুলক আচরন করে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার টেবিলে থাপ্পর মেরে গালাগাল করে। এসময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্য কর্মকর্তাদের থানা থেকে প্রত্যাহারের হুমকি দেয়। একটি সুত্র জানায়, আকষ্কিক ভাবে ৪০/৫০ থানায় ঢুকে হুমকী ধমকী দেয়ায় তৎক্ষনিক ভাবে পুলিশ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।
প্রসঙ্গত শুক্রবার বিকালে কসবা রেলষ্টেশনে আলম নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী মাদক সেবন করার সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের উপর হামলা করে। তখন পুলিশ তাকে সহ একটি নম্বর বিহীন মোটরসাইকেল আটক থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের দায়িত্বশীল সুত্র জানায়, গত ২৬ শে মার্চ থেকে সীমান্তবর্তী কসবায় মাদক নির্মুলে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। অভিযান শুরুর ৩/৪দিনের মধ্যে ২৫ টি মোটসাইকেল আটক করা হয়। গ্রেফতার করা হয় অর্ধশত মাদক ব্যবসায়ী-সেবীকে। অভিযান শুরুর পর থেকেই সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল থানা পুলিশকে নানা ভাবে হুমকী দিতে শুরু করে বলে জানায় একটি সুত্র। মোটরসাইকেল ও মাদক ব্যবসায়ী ধরা বন্ধ করতে বলে সে। জুয়েলের অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক। অভিযোগ রয়েছে তাদের কারনে কসবা উপজেলা ও থানা প্রশাসন ঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না।