সোমবার, ১৮ই জুন, ২০১৮ ইং ৪ঠা আষাঢ়, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

একই সুতায় গাঁথা বাংলাদেশ-ভারত : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ও ভারত একই সূতায় গাঁথা বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সম্পর্ক তা ছিন্ন হওয়ার নয়। অনেকে আমাদের সম্পর্ক নষ্ট করতে চাচ্ছে। কিন্তু তারা সেটা করতে পারবে না।’

বুধবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আয়োজনে বাংলাদেশকে ভারতের কূটনৈতিক স্বীকৃতির ৪৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর থেকেই বাংলাদেশের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ভারত। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, তাদের অস্ত্র ও রসদের ব্যবস্থা করা, বিশ্বজুড়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জনমত গঠন, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া প্রায় এক কোটি শরণার্থীর ভরণপোষণের ব্যবস্থা করেছে ভারত।

আর মুক্তিযুদ্ধে ৬ ডিসেম্বর দিনটি আরও উল্লেখযোগ্য এ কারণে যে, স্বাধীন বাংলাদেশকে এই দিনই স্বীকৃতি দিয়েছিল ভারত। আর পাকিস্তানি বিমানবাহিনী ভারতে আক্রমণ চালানোর পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করে। আর প্রবাসী সরকারের সিদ্ধান্তে এই দিন থেকেই মুক্তিবাহিনীর প্রতিটি সেক্টর ভারতীয় সেনাবাহিনীর অধীনে থেকে যুদ্ধ করতে থাকে। আর ১০ দিনের যুদ্ধেই পরাজয় বরণ করতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি বাহিনী। ১৬ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিনা শর্তে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন পাকিস্তানি বাহিনীর প্রধান আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী। আত্মপ্রকাশ ঘরে স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের।

আরও : বাংলাদেশের উপকূলে আসতে থাকা জ্বলন্ত জাহাজ আটকে দিলো ভারত

মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতীয় জওয়ানরাও এদেশের জন্য রক্ত দিয়েছে। তাদের আর আমাদের রক্ত মিলে একাকার হয়ে গেছে। এ বন্ধন ছিন্ন হওয়ার নয়। আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী যে সহযোগিতা করেছিলেন সেটা ভুলবার নয়।’

মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রাণ বাঁচাতে ভারতে ছুটে যাওয়া বাংলাদেশিদের মতোই মিয়ানমার থেকে প্রাণ বাঁচাতে ছুটে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়েও কথা বলেন মন্ত্রী। বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা আমদের না। এটা একান্তই মিয়ানমারের সমস্যা। তাই তাদেরকেই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।’

রোহিঙ্গাদের বিষয়ে মিয়ানমারের দাবি ভিত্তিহীন উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা দুই হাজার বছর আগ থেকে মিয়ানমারে বসবাস করছে। তারা সেখানকার বাসিন্দা। সুতরাং এখন এসব বলার কোনো সুযোগ নেই যে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে তাদের দেশে গিয়েছে।’

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বাংলাদেশ কিছুটা ঝামেলায় থাকলেও দেশের অবস্থা এখন অনেক ভালো বলে দাবি করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, ‘বাংলাদেশ এত ভালো অবস্থানে যা অতীতে কোনোদিন ছিল না। প্রতিটি সেক্টরেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। কিছু সমস্যা থাকলেও সেগুলো আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। আামদের বিদ্যুতের সমস্যা ছিল আমরা এখন সেটা সমাধা করে ফেলেছি।’

নির্মুল কমিটির নেতা শাহরিয়ার কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল আবদুর রশিদ ও শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

এ জাতীয় আরও খবর

বাংলাদেশের উপকূলে আসতে থাকা জ্বলন্ত জাহাজ আটকে দিলো ভারত

‘বাড়ি গেলে সৎ বাবা মারে’

ফেবারিটদের কী হলো?

হিজরা দলের অভিনব কায়দায় ছিনতাই

ঈদের আনন্দ এখন একটু কম, সবাইকে শুধু দিতেই হয়: চম্পা

ক্রিকেটারদের ঈদ কেমন কাটছে?