সোমবার, ১৮ই জুন, ২০১৮ ইং ৪ঠা আষাঢ়, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়  প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হচ্ছে শুঁটকি

news-image

আরও : বাংলাদেশের উপকূলে আসতে থাকা জ্বলন্ত জাহাজ আটকে দিলো ভারত

তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে  জেলে পাড়াতে প্রাকৃতিক উপায়ে শুঁটকি তৈরীতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে নারী-পুরুষ শ্রমিকরা। এতে জেলে পাড়ায় বইছে উৎসবের আমেজ। বছরের এ সময় আবহাওয়া শুঁটকি তৈরির উপযোগী হওয়ায় রাত-দিন শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন জেলে পল্লীর কর্মব্যস্ত মানুষগুলো। ফলে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হচ্ছে কীটনাশক মুক্ত নির্ভেজাল শুঁটকি। আর এই শুঁটকির মানসম্মত হওয়ায় জেলার গন্ডি পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন স্হানে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

উপজেলার বেশির ভাগ জায়গা হাওর বেষ্টিত এলাকা হওয়ায় মাছের আমদানী তুলনামূলক বেশি। তাই  বিল থেকে কাঁচা মাছ প্রক্রিয়াজাত করে  করে শুঁটকি তৈরি হওয়ার আগ পর্যন্ত জেলে পল্লীতে কাজ করে হাজারো নারী -পুরুষ শ্রমিক।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার আটাউরী,লঙ্গন, বিলবালীঙ্গা,মেদীর বিলসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে শুরু হয়েছে মিঠাপানির মাছের শুঁটকি তৈরির কাজ। এ সব জেলে পল্লীর মানুষ এখন কাঁচা মাছ সংগ্রহ করে রোদে শুকিয়ে শুঁটকি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।  শুঁটকি শুকানোর জন্য তৈরি হচ্ছে বাশেঁর মাচা। শুঁটকি তৈরিতে মাছের মধ্যে রয়েছে পুঁটি,টেংরা,শৈল,গজার,বোয়াল,বাইম দেশীয় প্রজাতীর মাছ।
কথা হয় স্থানীয় শুঁটকি ব্যবসায়ী মাহফুজ মিয়া, চিএদাস  ও হরিপদ বাবুর সাথে তারা বলেন, স্হানীয় পাইকারদের সহায়তায় আমাদের এই অঞ্চলে উৎপাদিত শুঁটকি দেশের সিলেট,কিশোরগঞ্জ,হবিগঞ্জ,সুনামগঞ্জ,নরসিংদী ও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন যাচ্ছে। তারা জানায়, আশ্বিন,কার্তিক ও পৌষ মাস হল কাঁচা মাছ শুকানোর সঠিক সময়। আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্য শুঁটকি ভোজন রসিকদের যুগ যুগ ধরে রসনা তৃপ্ত করে আসছে আমাদের উৎপাদিত শুঁটকি।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়,
উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে শত শত শুঁটকি শুকানোর চাতল রয়েছে । পানি নামার সাথে সাথে বিলে ধরা পড়ছে  দেশীয় প্রজাতির মাছ।
আর কৃষি প্রযুক্তি প্রকল্পের কাজ চলছে  কৃষি,মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের। যারা শুঁটকি উৎপাদন করে মূলত তাদের নিয়ে প্রত্যেক ইউনিয়নে দুটি করে সিআইজি (২০ জনের একটি গ্রুপ)গঠন করা হয়েছে। শুঁটকির  মান ঠিক রাখতে আমরা জেলেদের সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
মৎসজীবী জীবন দাস বলেন, এক কেজি কাঁচা মাছ কিনতে তাদের খরচ হয় ৮০ থেকে ৯০ টাকা। আর চার কেজি কাঁচা মাছ শুঁকিয়ে হয় এক কেজি শুঁটকি। এক কেজি শুঁটকি পাইকারদের কাছে পাচঁশত হতে ছয়শত টাকা বিক্রি করা যায়।এতে কেজি প্রতি সব খরচ বাধ দিয়ে লাভ ভাল হয়।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আরাফাত উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, এখানে সম্পূর্ণ ভেজাল মুক্ত প্রাকৃতিক উপায়ে শুঁটকি উৎপাদন করা হয়। মৎস্য অফিস হতে যত ধরণের সহযোগীতা আছে আমরা করছি।
Print Friendly, PDF & Email

এ জাতীয় আরও খবর

নাসিরনগরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুর্বৃত্তদের আগুন

নাসিরনগরে মাদক বিরোধী র‌্যালি

নাইজেরিয়াতে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত অন্তত ৩১

ভারতের আরেক ধর্ষক ‘বাবা’! নিখোঁজ আশ্রমের ৬০০ মহিলা!

এবার নারী ‘মাদক বিক্রেতার’ গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

সিলেটের সঙ্গে মৌলভীবাজারের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন