সোমবার, ১৮ই জুন, ২০১৮ ইং ৪ঠা আষাঢ়, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

ছায়েদুল হকের মৃত্যুতে শোকাহত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ

মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক আজ শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুুুুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্তিকাল করেছেন। তার ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, এমপি।

এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, মাননীয় মন্ত্রী জনাব ছায়েদুল হক একজন প্রবীণ রাজনীতিক ও একাধিকবারের বিজয়ী সংসদ সদস্য। তার ইন্তিকালে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।

জনাব ছায়েদুল হককে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রাজনীতির মহীরূহ উল্লেখ করে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, তার বিদায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা পূরণ হবার নয়। পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী আজ গভীরভাবে শোকাহত। তিনি মরহুমের পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

এদিকে মন্ত্রী ছায়েদুল হকের পারিবারিক সূত্র  নিশ্চিত করেছে, মন্ত্রীর মরদেহ আপাতত হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হবে। কাল রোববার সকাল ৮টায় মরহুমের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে জাতীয় সংসদে।  সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার প্রথম নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এসময় সেখানে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীগণ ছায়েদুল হককে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন।

আরও : শিক্ষকরা কঠোর আন্দোলনের পথে এমপিও’র দাবিতে

ছায়েদুল হকের চাচাতো ভাই আবদুল বাছির বিষয়টি নিশ্চিত করে  জানান, ছায়েদুল হকের জন্য তার বাবা-মায়ের কবরের মাঝখানে কবর খোঁড়া হচ্ছে। রোববার বাদ জোহর পূর্বভাগ এস.ই.এস.ডি.পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তৃতীয় জানাজা শেষে কল্লরপাড় কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের মাঝখানেই শায়িদ হবেন তিনি।

 

রোরবার সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে মন্ত্রী ছায়েদুল হকের প্রথম নামাজের জানাজা। এরপর মরদেহ হেলিকপ্টারে করে আনা হবে তার নিজ নির্বাচনী এলাকা নাসিরনগর উপজেলায়। নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে দ্বিতীয় জানাজার পর মরদেহ নিজ বাড়িতে আনা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন ছায়েদুল হকের সহকারী একান্ত সচিব মিজানুর রহমান।

উল্লেখ্য, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের খ্যাতনামা আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছায়েদুল হক ১৯৪২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের পূর্বভাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম সুন্দর আলী। ১৯৬৮ সালে এমএ (অর্থনীতি) ও ৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাস করেন। ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে পর্দাপণ করেন। ১৯৬৫-৬৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদে ছাত্রলীগের প্যানেলে ভিপি নির্বাচিত হন। স্বাধীনতা যুদ্ধে একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের টিকেটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন। ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮, ২০১৪ সালের নিবার্চনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং দশম সংসদ নির্বাচনের পর মন্ত্রী পরিষদে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী হিসেবে তিনি দায়িত্ব পান।

আমাদের সময় ডট কম

Print Friendly, PDF & Email

এ জাতীয় আরও খবর

শিক্ষকরা কঠোর আন্দোলনের পথে এমপিও’র দাবিতে

মেয়ের গায়ে হাত তুলবেন না হ্যারি, এমন প্রত্যাশা ছিল মেগানের বাবার

বিশ্বকাপে রাশিয়ান তরুণীদের সে ক্স নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

বাংলাদেশের উপকূলে আসতে থাকা জ্বলন্ত জাহাজ আটকে দিলো ভারত

‘বাড়ি গেলে সৎ বাবা মারে’

ফেবারিটদের কী হলো?