রবিবার, ৩রা জুন, ২০১৮ ইং ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

সৌদি আরবে নারী শ্রমিকদের হোস্টেলে রাখা হবে

অনলাইন ডেস্ক : সৌদি আরবসহ কয়েকটি দেশে নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তায় নতুন প্রকল্প নেয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে অভিবাসী নারী শ্রমিকদের বাসায় না রেখে বিভিন্ন হোস্টেলে রাখা হবে। সেখান থেকে তারা কাজে যাতায়াত করবেন।

এর ফলে সেখানে যাওয়া বাংলাদেশি নারী শ্রমিকদের ওপর নির্যাতনের আশঙ্কা কমে আসবে বলে আশা করছে অভিবাসী নিয়ে কাজ করে এমন বেসরকারি সংস্থা রামরু।

বাংলাদেশের সরকারি হিসেবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৯ লক্ষ ৬০ হাজার শ্রমিক বিভিন্ন দেশে গেছে। তবে বেসরকারি সংস্থাগুলো বলছে এই সংখ্যা ১০ লক্ষের বেশি।

এর অর্ধেকের বেশি শ্রমিক গিয়েছেন সৌদি আরবে। এদের বড় একটি অংশ নারী শ্রমিক, যারা মূলত গৃহকর্মী হিসাবে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কাজ করতে যান।

অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করে এমন একটা প্রতিষ্ঠান, রামরু’র প্রধান তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, ”অভিবাসনের হিসাবে ২০১৭ সালটি একটি ভালো বছর, কারণ এ বছর ১০ লক্ষের বেশি বাংলাদেশি অভিবাসী হয়েছে। এদের অর্ধেকের বেশি গেছেন সৌদি আরবে।”

২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে অভিবাসী হয়েছে প্রায় ১০ লাখ মানুষ, যাদের বড় একটি অংশ সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় শ্রমিক হিসাবে গিয়েছেন। ২০১৭ সালটা অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য কেমন ছিল এই নিয়ে আজ একটি প্রতিবেদন দেবে রামরু।

সংস্থাটির প্রধান তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, ”এ বছরে একটি সৌদি আরব ও সেখানকার দেশগুলোয় নারী শ্রমিকদের পরিবেশেও বড় পরিবর্তন হচ্ছে।”

তিনি বলেন, ”নারী শ্রমিকদের ওপর গৃহের অভ্যন্তরে নির্যাতন যে পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে তা নয়। তবে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে একটি বড় অগ্রগতি হয়েছে যে, সেখানে কর্মরত নারীদের বাড়িতে না রেখে বিভিন্ন ধরণের হোস্টেল তৈরি করে নারী শ্রমিকদের রাখা, সেখান থেকে তাদের কাজে আনা নেয়া করার একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। সেটা যদি সফল হয়, নারী যদি গৃহে বন্দী না থাকেন, তাহলে তাদের ওপর যৌন নির্যাতন বা শারীরিক নির্যাতনের সুযোগ কমে যাবে।”

বিদেশ থেকে অভিবাসী শ্রমিক আবার দেশেও ফিরে আসছে বলেও রামরু তাদের গবেষণায় দেখতে পেয়েছে। এই অভিবাসী শ্রমিকরা দেশে ফিরে আসার পর যাতে তাদের সঞ্চিত অর্থ ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে, সেজন্য সরকারি প্রণোদনা দরকার বলে মনে করেন ড. সিদ্দিকী। সূত্র: বিবিসি।

Print Friendly, PDF & Email