মঙ্গলবার, ৩০শে জানুয়ারি, ২০১৮ ইং ১৭ই মাঘ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে জিম্বাবুয়ে

দুটি ম্যাচই বোনাস পয়েন্টসহ জিততে পারায় এর মধ্যেই ফাইনালে বাংলাদেশ। তবে নিশ্চিত হয়নি প্রতিপক্ষ। দৌড়ে টিকে আছে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে দুই দলই। বাংলাদেশের শেষ দুই ম্যাচের উপরই নির্ভর করছে টাইগারদের সঙ্গী হচ্ছেন কারা। সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বললেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার। বাংলাদেশকে হারানোর স্বপ্ন দেখছে দলটি।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে শ্রীলঙ্কাকে ১২ রানে হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে ফিরতি পর্বে লঙ্কানদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি দলটি। ৫ উইকেটে হারার পর সমীকরণ নির্ভর করছে বাংলাদেশের ম্যাচের উপর। ক্রেমারের ভাষায়, ‘এখন এটা (টুর্নামেন্ট) অনেক জমে উঠলো। বাংলাদেশকে এখন আমাদের একদলকে হারাতেই হবে। আমি আশা করছি আমরাই হবো সেই দল এবং ফাইনালে উঠবো। দর্শকদের জন্যও এখন অনেক বিনোদনের হয়ে উঠলো।’

তবে রোববার জিততে পারলে ফাইনালে বাংলাদেশের সঙ্গী হতো জিম্বাবুয়েই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগের ম্যাচেই ২৯০ রানের পুঁজি গড়েছিল তারা। এর পর লঙ্কানদের বিপক্ষে ৩২০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করে বাংলাদেশ। তাই এ ম্যাচেও বড় সংগ্রহ করতে চেয়েছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু উইকেট এদিন ব্যাটিং সহায়ক ছিলো না। কিন্তু তা বুঝতে বুঝতেই বড় ধাক্কা খেয়ে বসে দলটি। ফলে ১৯৮ রানের লক্ষ্য দেয় লঙ্কানদের।

‘আমার মনে হয় আমরা ৩০ রান কম করেছি। গত দিনের তুলনায় এদিনের উইকেট ভিন্ন ছিল। আমার মনে হয় ব্রেন্ডন (টেইলর) থাকা অবস্থায় আমরা মানিয়ে নিতে পেরেছিলাম। আমরা ২৭০ এর জায়গায় তখন ২৩০ এর লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। তবে মাঝের দিকে আমরা বেশি উইকেট হারিয়ে ফেলি। রাজা আউট হওয়ার পর এটা আর সম্ভব হয়নি। এটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ছিল বলে আমার মনে হয়। আমরা যদি ২৩০ করতে পারতাম তাহলে আমাদের জয়ের ভালো সুযোগ ছিলো।’

নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় চান ক্রেমার। আগামী মঙ্গলবারই টাইগারদের মোকাবেলা করবে তার দল। তবে এ ম্যাচে হারলেও কিছু সুযোগ থাকছে তাদের। সেক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কাকে হারতেই হবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। পাশাপাশি রান রেটটাও থাকতে হবে কম। তাই বাংলাদেশের দিকেই তাকিয়ে আছে দলটি।