বুধবার, ২৮শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ইং ১৬ই ফাল্গুন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

সকল আন্দোলনের স্বাক্ষী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহীদ মিনার 

তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ১৯৫২ সনের মহান একুশে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অবদান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মহকুমার ৫২’র ভাষা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নায়ক ছিলেন অলি আহাদ। যার জন্ম স্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বুধন্তি ইউনিয়নের ঐতিহাসিক ইসলামপুর গ্রামে। অলি আহাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলেই ১৯৫২ সনের ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিল ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। আর এই ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার ফলেই সংঘটিত হয় ২১ ফেব্রুয়ারির ঐতিহাসিক ঘটনা যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের স্নরণে  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথম ১৯৬২ সনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ সংলগ্ন  পশ্চিম পাশে বাগানের ভিতর ছোট্র একটি শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠা করা হয়।
পরবর্তীতে ১৯৬১-৬২ সনে কলেজের ভিপি ছিলেন মুহম্মদ মুসা। তিনি বর্তমানে একজন প্রবীণ সাংবাদিক ও গবেষক। আবদুল খালেককে আহবায়ক করে প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি চাঁদা তুলে প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
পরে ১৯৭২ সনে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তত্কালীন কলেজের ভিপি হুমায়ুন কবির ও জিএস শেখ কুতুব হোসেনের নেতৃত্বে স্থানান্তর করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ সংলগ্ন নিয়াজ মুহাম্মদ স্কুল মাঠে দ্বিতীয়বার বড় আকারে শহীদ মিনার নির্মাণ করে। ২০০৯ সনে তত্কালীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান খান মুহম্মদ মুসাকে একটি আধুনিক শহীদ মিনার নির্মাণের প্রস্তাব দেন।
মুহম্মদ মুসা তখন জেলা প্রশাসক আবদুল হাইকে প্রস্তাবটি জানালে তিনিও উত্সাহিত হয়ে পূূূূর্ণাঙ্গ শহীদ মিনারে প্রতিষ্ঠা করেন।  বীর মুক্তিযুদ্ধা ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, বর্তমানে সরকারি কলেজ সম্মুখে শহীদ মিনারটি সর্বমহলে স্বীকৃত।
Print Friendly, PDF & Email