শনিবার, ১০ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ইং ২৮শে মাঘ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

কৌতূহলের কেন্দ্রে মিরপুরের উইকেট

স্পোর্টস ডেস্ক : অনুশীলনে এসেই উইকেটটা দেখে নেন শ্রীলংকান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। আর মাঠ ত্যাগ করার আগে আসেন রঙ্গনা হেরাথ। দু’জনই বেশ ভালোভাবে পরখ করেছেন মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট। শুধু দু’জনই নন, দ্বিতীয় টেস্টের উইকেট নিয়ে কৌতূহলী সবাই। প্রথম টেস্টের উইকেটের রহস্যময় আচরণের কারণেই সবার এত আগ্রহ।

চট্টগ্রামের পিচ রীতিমতো ধোঁকা দিয়েছে উভয় দলকে। ম্যাচ শুরুর আগে দু’দলই বলেছিল, উইকেটে স্পিনাররা সহায়তা পাবেন। এরপর প্রতিদিনই বলা হতো, কাল থেকে স্পিন করবে। কিন্তু পঞ্চম দিন পর্যন্ত ব্যাটসম্যানদের পক্ষে কথা বলেছে পিচ। অতি ব্যাটিংবান্ধব হওয়ায় জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেটকে কিছুটা মূল্যও দিতে হয়েছে। ১ হাজার ৫৩৩ রান ওঠা পিচকে আইসিসি একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছে। ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুনের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে এই শাস্তি। ডেভিড বুন তার রিপোর্টে লিখেছিলেন, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পিচে পেসারদের জন্য সুইং ছিল না, স্পিনাররাও খুব একটা টার্ন পাননি। যাবতীয় সুবিধা পেয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। তবে মিরপুরে এমন পিচ হচ্ছে না বলেই জানা গেছে।

এখানে স্পিনারদের জন্য টার্ন-বাউন্স দুটোই থাকবে। শুরুতে পেসাররাও সুবিধা পেতে পারেন। তবে উইকেট নিয়ে টুঁ শব্দ করছেন না কিউরেটর গামিনি ডি সিলভা। উইকেট নিয়ে এমনিতেও খুব একটা কথা বলেন না লংকান এই কিউরেটর। ত্রিদেশীয় সিরিজের পর তিনি একেবারে চুপসে গেছেন। অভিযোগ উঠেছিল, ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের আগে নাকি তিনি লংকানদের কাছে উইকেটের তথ্য পাচার করেছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত এর কোনো প্রমাণ মেলেনি। তবে বেশ চাপে আছেন গামিনি ডি সিলভা। স্বাগতিকদের চাওয়া অনুযায়ী উইকেট দিতে না পারলে তার চাকরিটা হুমকিতে পড়ে যাবে।

পিচ দেখে দুই অধিনায়কই স্পিনারদের দাপটের সম্ভাবনা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মতে, ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো এবারও শেরেবাংলায় লো-স্কোরিং ম্যাচ হতে পারে, ‘যতটুকু আজ দেখলাম পিচ শুষ্ক মনে হয়েছে। এমনিতে আমরা ঢাকায় যে ধরনের উইকেট দেখি, এটা তেমনই। ত্রিদেশীয় সিরিজেও বোলারদের জন্য মোটামুটি সাহায্য ছিল। ঢাকার উইকেটে কিছু না কিছু সাহায্য থাকে বোলারদের জন্য।’

লংকান অধিনায়ক চান্দিমালও মনে করছেন, শেরেবাংলার শুষ্ক পিচে স্পিনারদের সহায়তা পাবেন। তবে পছন্দের উইকেট পেলেও উচ্ছ্বসিত হতে সতীর্থদের নিষেধ করেছেন মাহমুদু্ল্লাহ, ‘স্পিনারদের জন্য বাড়তি সহায়তা থাকলে আমরা রোমাঞ্চিত হয়ে পড়ি। তবে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, ঠিক জায়গায় বোলিং করতে হবে। চট্টগ্রামে শুরুতে একটা উইকেট নেওয়ার পর আরও কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছিলাম। দু-একটা রানআউটের সুযোগও ছিল। সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে তাদের আরও চাপে ফেলা যেত।’