বৃহস্পতিবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০১৮ ইং ৬ই বৈশাখ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

হাইকোর্ট মসজিদে জানাজা শেষে রাজীবের লাশ নেয়া হচ্ছে পটুয়াখালী

নিজস্ব প্রতিবেদক : দুই বাসের প্রতিযোগিতায় প্রাণ হারানো সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতকের ছাত্র রাজীব হোসেনের (২১) প্রথম নামাজে জানাজা হয়েছে। এখন তার লাশ নেয়া হচ্ছে গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীতে।

দুপুরে জোহর নামাজের পর হাইকোর্ট মসজিদে রাজীবের জানাজা সম্পন্ন হয়।

এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ নিয়ে স্বজনরা রাজীবের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামের পথে রওনা করেন।

রাজীবের মামা জাহিদুল ইসলাম জানান, গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে রাজীবকে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।

এদিকে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বলেছেন, মাথায় আঘাতের ফলে রাজীবের মস্তিষ্কের ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়, এতেই তিনি মারা যান।

সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজীব মারা যান।

এরপর মঙ্গলবার দুপুর ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাজীবের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।

দুপুর পৌনে ১টার দিকে ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস জানান, রাজীবের মাথার হাড় ভাঙা ছিল। তার মাথার খুলির নিচে রক্তক্ষরণ দেখা গেছে। এ রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।

গত ৩ এপ্রিল বিআরটিসির একটি দোতলা বাসের পেছনের গেটে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন তিতুমীর কলেজের ওই ছাত্র। হাতটি বেরিয়ে ছিল সামান্য বাইরে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে হঠাৎই পেছন থেকে স্বজন পরিবহনের একটি বাস বিআরটিসির বাসটিকে পেরিয়ে যাওয়ার বা ওভারটেক করার জন্য বাঁ দিকে গা ঘেঁষে পড়ে।

দুই বাসের প্রচণ্ড চাপে রাজীবের হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দু-তিনজন পথচারী দ্রুত তাকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেও বিচ্ছিন্ন সে হাতটি রাজীবের শরীরে আর জুড়ে দিতে পারেননি।

শমরিতা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর রাজীবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। সাময়িক উন্নতির পর গত সোমবার থেকে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। রাজীবের মস্তিষ্ক অসাড় হয়ে যায়। সে থেকে আর জ্ঞান ফিরেনি তার।

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামের রাজীব তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় মা এবং অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবাকে হারান। ঢাকার মতিঝিলে খালার বাসায় থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন স্নাতকে।

পড়ালেখার ফাঁকে একটি কম্পিউটারের দোকানে কাজ করে নিজের আর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া দুই ভাইয়ের খরচ চালানোর সংগ্রাম করে আসছিলেন এই তরুণ।

Print Friendly, PDF & Email

এ জাতীয় আরও খবর

ঘুষের টাকাসহ গ্রেপ্তার প্রধান নৌ প্রকৌশলী রিমান্ডে

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে তিন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ১২ সম্পাদক

প্রবাসীদের ভোটাধিকার ‘পরের বার’

কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ৩১ মে

কিমের সঙ্গে বোঝাপড়া না হলে পদত্যাগ করবেন ট্রাম্প

সিএনজি মালিকদের কর দিতে হবে : এনবিআর