বৃহস্পতিবার, ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইং ১২ই আশ্বিন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

নামাজের রোকনসমূহ কি কি?

মাওলানা আমিনুল ইসলাম: নামাজ হল ইসলাম ধর্মের প্রধান ইবাদত। প্রতিদিন পাঁচওয়াক্ত (নির্দিষ্ট নামাজের নির্দিষ্ট সময়) নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক বা ফরজ। নামাজ ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের একটি। শাহাদাহ বা বিশ্বাসের পর নামাজ হচ্ছে ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। তবে নামাজের অনেকগুলো রোকন আছে যেগুলো আদায় করা ছাড়া নামাজ শুদ্ধ হয়না।

১. সক্ষম ব্যক্তির জন্য ফরজ নামাজ দাঁড়িয়ে আদায় করা। অর্থাৎ-ফরজ নামাজ দাঁড়ানোর ক্ষমতা থাকা অবস্থায় দাঁড়িয়ে আদায় করা ফরজ। দলিল, আল্লাহ পাক বলেন: ‘তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে বিনয়ের সাথে দাঁড়িয়ে থাক’। (সূরা বাকারা)

২. তাকবিরে তাহরিমা বলা: নামাজ শুরু করার সময় ‘আল্লাহু আকবার’ বলতে হবে। দলিল, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী: তিনি বলেন, নামাজের শুরু হল তাকবির আর শেষ হল সালাম। (তিরমিযি:৩০৬)

৩. সূরা ফাতেহা পড়া: ইমাম ও মুক্তাদি সকলের জন্য প্রতি রাকাআতে সুরা ফাতিহা পড়া ওয়াজিব। দলিল, রাসূল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ‘যে ব্যক্তি সুরা ফাতেহা পড়েনা তার সালাত হয় না।’ (বুখারী:৭১৪)

৪. রুকু করা।

৫. রুকু হতে উঠা।

৬. প্রতি রাকাআতে দুইবার সেজদা করা।

৭. দুই সেজদার মাঝে বসা।
দলিল, আল্লাহর বাণী: ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা রুকু কর এবং সেজদা কর।’ (সুরা হজ: ৭৭) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ‘তারপর ভালোভাবে রুকু কর। অত:পর রুকু হতে মাথা উঠাও এবং সম্পূর্ণ সোজা হয়ে দাঁড়াও তারপর ভালোভাবে সেজদা কর। অত:পর সেজদা হতে মাথা উঠাও এবং ভালভাবে বস। তারপর পুণরায় ভালোভাবে সেজদা কর’। (বুখারী:৭১৫)
মনে রাখতে হবে, সেজদা অবশ্যই সাতটি অঙ্গের উপর করতে হয়ঃ কপাল-নাক, দুই ক্ববজি, দুই হাঁটু এবং দুই পায়ের তালু।

৮. শেষ তাশাহুদ।

৯. শেষ বৈঠক।
দলিল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘যখন সে সালাত পড়বে শেষ বৈঠকে বলবে:
التحيات لله والصلوات والطيبات السلام عليك أيها النبي ورحمة الله وبركاته السلام علينا وعلى عباد الله الصالحين أشهد أن لا إله إلا الله وأشهد أن محمدا عبده ورسوله. رواه البخاري

১০. সালাম
অর্থাৎ ডান দিকে বলবে السلام عليكم ورحمة الله এবং বাম দিকে বলবে السلام عليكم ورحمة الله দলিল, রাসূল সা বলেন: ‘নামাজের শুরু হল তাকবীর আর শেষ হল সালাম।’ (তিরমিযি: ৩০৬)

১১. নামাজের সকল রুকুনকে ধীরস্থিরভাবে আদায় করা।

১২. সমস্ত রুকনগুলি ধারাবাহিকভাবে আদায় করা।