শুক্রবার, ৫ই অক্টোবর, ২০১৮ ইং ২০শে আশ্বিন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

রাতে কখন মেয়েরা যৌন মিলনের জন্য ঘনিষ্ঠ হতে চায় জানেন ?

লাইফস্টাইল ডেস্ক : সম্প্রতি এক সমীক্ষা বলছে, মহিলারা রাত ১১টা ২১ মিনিটের পর শয্যায় বেশি ঘনিষ্ঠ হতে পছন্দ করেন।

পালটা পুরুষেরা সকাল ৭টা ৫৪ মিনিটে, বলা ভালো অফিস যাওয়ার আগে ঘনিষ্ঠতা পছন্দ করেন।

সমীক্ষা আরও বলছে, মহিলারা সবথেকে বেশি উত্তেজিত থাকেন রাত এগারোটা থেকে মধ্যরাত দুটো পর্যন্ত। অন্যদিকে, পুরুষেরা এই অবস্থায় থাকেন ভোর পাঁচটা থেকে ন’টা পর্যন্ত।

ডেইলি মেলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, প্রাতঃরাশ সারার আগেই সঙ্গিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে বেশি পছন্দ করেন ছেলেরা।

অন্যদিকে, মেয়েদের প্যাশন রাতে বেশি প্রকাশ পায়। ব্রিটেনে প্রায় ২৩০০ জন মহিলা-পুরুষের উপর এক সমীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন গবেষকরা।

আপনার সঙ্গী-সঙ্গিনী কি এমন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী?

প্রায়ই মনে হয়ে যে, আপনার সঙ্গী কিংবা সঙ্গিনী কেবল নিজেতেই মুগ্ধ থাকেন? এটা ঠিক নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকা নয়। তবে নিজের প্রতি মুগ্ধতা তাদের সবচেয়ে বেশি। আর এ বিষয়টি সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব ফেলে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

কাজেই যদি সম্পর্কে জড়িয়ে থাকেন এবং আপনার সঙ্গী-সঙ্গিনীর মাঝে আত্মমুগ্ধতা কাজ করে তবে আগেভাগেই এ সমস্যাকে বিদায় জানাতে হবে। এখানে সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কীভাবে বুঝবেন আপনার পার্টনার এমন কিনা।

আপনার নিজের সম্পর্কে বাজে ধারণা দেবে

আত্মমুগ্ধ প্রেমিক বা প্রেমিকা প্রায়ই এমন সব কথা বলবে যার ফলে আপনার নিজের প্রতি নিজের মাঝেই বাজে ধারণার সৃষ্টি হতে থাকবে। ছোটখাটো বিষয় কিংবা বড় ইস্যু নিয়ে আপনাকে নিয়ে সমালোচনামূলক মন্তব্য করবেন তিনি।

সবসময় নিজের সম্পর্কেই কথা বলেন

তারা যেহেতু নিজের প্রতি মুগ্ধ, কাজেই কেবল নিজের বিষয়গুলো নিয়েই কথা বলেন তিনি। সব মানুষের নজরের কেন্দ্রে থাকাই তাদের একমাত্রা লক্ষ্য। তারা সবসময় নিজের বুদ্ধিমত্তা, স্মার্টনেস আর সৌন্দর্যের জানান দিতে পছন্দ করেন।

তাদের সুখী হতে প্রশংসা দরকার

প্রশংসা পেতে কার না ভালো লাগে? কিন্তু আত্মমুগ্ধ মানুষরা কেবলমাত্র প্রশংসাকেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন।

অন্যদের প্রতি হীন আচরণ করেন

আপনার সঙ্গী-সঙ্গিনীর মধ্যে এ প্রবণতা আছে কিনা খেয়াল করে দেখুন। এ ধরনের মানুষরা অন্যদের হেয় করার চেষ্টায় থাকেন। আর সেখানেই নিজেদের আদর্শরূপে উপস্থাপন করেন। ইগোকেন্দ্রিক আচরণ সবসময় বিরক্তিকর হয়ে ওঠে।

তাদের আচরণ ও কথাবার্তা অন্যদের কাছে অসহনীয় হয়ে ওঠে। অন্যের নেতিবাচক দিকগুলো তারা বার বার তুলে আনেন। কিন্তু নিজেদের একই বিষয় সম্পর্কে কোনো ধারণাই থাকে না। তারা খুব সহজেই অন্যের চেয়ে যেকোনো কাজে ভালো বলে অবলীলায় প্রচার করেন।

স্পর্শকাতর

এদের মানসিকতা দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল। তাদের আবেগ যখন নিজের চাহিদামতো রসদ পায় না, তখনই তারা বাজে আচরণ করেন। অনেক সময়ই তারা নিজের রাগ বা হিংসুটে মনোভাব মোটেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না।

সহানুভূতি থাকে না

এ কাজে তারা অনেক পিছিয়ে। আপনি খুব খারাপ সময় পার করতে থাকলেও তাদের মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। তারা কেবল নিজেরটাই ভাবে। অন্য কারো খারাপ লাগা তাদের মধ্যে দুঃখবোধ সৃষ্টি করে না।