ঢাকা ছাড়তে সদরঘাটে জনতার ঢল
নিউজ ডেস্ক: ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল নেমেছে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। মানুষের ভিড়ে মুখরিত ঘাট, প্লাটফর্ম, লঞ্চের ডেক আর করিডোর। নাড়ির টানে ছুটে চলছেন যে যার গন্তব্যে। বাস বা ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যেই যেতে হচ্ছে গন্তব্যে। তবে এখনো তুলনামূলক স্বস্তিতেই লঞ্চযোগে ঢাকা ছাড়ছেন দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা।
আজ রবিবার সদরঘাটে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্রোত ছিল চোখে পড়ার মতো। লঞ্চ ঘাটের দিকে জনস্রোত নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিশ খাচ্ছেন পুলিশ আর বিএনসিসির সদস্যরা।
ঘাট সূত্রে জানা গেছে, ঈদ মৌসুমে প্রায় প্রতিটি লঞ্চই নির্ধারিত সময়ের আগেই যাত্রীবোঝাই হয়ে যায়। তাই একই রুটে চলাচল ঘাটে একাধিক লঞ্চ ভেড়ানো থাকে। এবার মোট ৪১টি রুটে ২০৬টি লঞ্চ চলাচল করবে সদরঘাট থেকে। সেইসঙ্গে চলবে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ লঞ্চগুলো।
এদিকে সদরঘাট টার্মিনাল ছেড়ে যাওয়া হুলারহাট, পিরোজপুর, ভাণ্ডারিয়া, শরীয়তপুর, বরগুনা, ভোলা, চরফ্যাশন, দুমকি, আমতলীসহ বেশ কয়েকটি রুটের লঞ্চে ছিল যাত্রী বোঝাই। যাত্রীদের চাপে নির্ধারিত সময়ের আগে বেশ কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। এ ছাড়া বরিশালগামী প্রত্যেকটি লঞ্চেও দেখা গেছে একই চিত্র।
বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে কয়েকটি স্তরে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), কোস্টগার্ড, র্যাব, আনসার বাহিনী, বিআইডব্লিউটিএ’র নিজস্ব ডুবরি দল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) এবং নৌ-নিরাপত্তার ক্যাডেট দল কাজ করছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, টার্মিনালে ভিড় বেশি হলেও লঞ্চে যাত্রীদের উঠানোর জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। সকাল থেকেই যাত্রীরা লঞ্চে উঠছেন।
ঢাকা নদীবন্দর নৌযান পরিদর্শক দীনেশ কুমার সাহা জানান, এবার আবহাওয়ার বিষয়টি খুব গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যেন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে দ্রুত নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত উঠানো যায়। কালের কণ্ঠ অনলাইন