বৃহস্পতিবার, ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইং ১২ই আশ্বিন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

বিবস্ত্র অবস্থায় ছবি তুলত এরা, এরপর…

প্রতারক চক্রের চার নারী সদস্যসহ আটজনকে আটক করেছে পুলিশ। এরা ধনাঢ্য পরিবারের সদস্যদের টার্গেট করে প্রেমের ফাঁদে ফেলতো। যুবকরা বিভিন্ন কৌশলে মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে নারী সদস্যদের দিত। বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে নওগাঁ শহরের পার- নওগাঁ দক্ষিণপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মৃত শহিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।

এ বিষয়ে নওগাঁ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাই বলেন, প্রত্যারক চক্রের নারী সদস্যরা ধনাঢ্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলত। অনেকে না বুঝে তাদের ফাঁদে পা দিতো। তাদের বাড়িতে ডেকে এনে ঘরের দরজা বন্ধ করে বিবস্ত্র অবস্থায় ছবি তুলতো এরা। সেই ছবিগুলো ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ আদায় করত। অবশেষে প্রতারক চক্রের সদস্যদের আটক করা সম্ভব হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

আটকরা হলেন, পার-নওগাঁ দক্ষিণপাড়া এলাকার মৃত শহিদুল ইসলামের মেয়ে শান্তা খাতুন (৩০), নিপা খাতুন (৩২) সন্ধ্যা খাতুন (১৯), সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ মন্ডলের ছেলে হারুন মন্ডল (৩৬), আজাহার আলীর ছেলে আরিফ হোসেন (২৫), আফজাল হোসেন মোল্লার ছেলে নুর ইসলাম নোবেল (২০), আব্দুস সালামের ছেলে আশিক (১৯) এবং বগুড়ার আদমদিঘী থানার কেল্লা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে রিয়া খাতুন।

জানা যায়, কথার ছলে প্রথমে বন্ধুত্ব করত ওই নারীরা। এরপর এ সম্পর্ককে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে প্রেমের প্রস্তাব এবং বাড়িতে আমন্ত্রণ জানাতো। এরা বেশ কিছুদিন ধরে নওগাঁ শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে এই অপকর্ম করে আসছিল।

সর্বশেষ এ দলের ফাঁদে পড়েন মঙ্গলপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম। তিনি শিউলী ম্যানসনের চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকতেন।

ওই চক্র বাড়িতে ডেকে নিয়ে নগদ ৫০ হাজার টাকা আদায় করে রফিকুলের থেকে। এছাড়া আরও ৮ লাখ টাকা দাবি করে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেয়।

এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলাও রয়েছে। পুলিশও এ চক্রকে বহুদিন ধরে খুঁজছিল। অবশেষে ল্যাব জোন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সহকারী পরিচালক ময়নুল হোসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে নওগাঁ শহরের পার-নওগাঁ দক্ষিণপাড়ায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে পুলিশ।