বৃহস্পতিবার, ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইং ১২ই আশ্বিন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

ঈদের ছুটিতে চলুন যাই নির্জন সমুদ্র সৈকতে

যারা নির্জনে সমুদ্র উপভোগ করতে চান তাঁদের জন্য টেকনাফ সৈকত আদর্শ জায়গা। আর তাই দেরি না করে আসছে ছুটির দিনে ঘুরে আসুন টেকনাফ সৈকত থেকে।

যা দেখবেন

বিস্তীর্ণ বেলাভূমি, সারি সারি ঝাউবন, সৈকতে আছড়ে পড়া বিশাল ঢেউ। সকালবেলা দিগন্তে জলরাশি ভেদ করে রক্তবর্ণের থালার মতো সূর্য। সূর্য অস্তের সময় দিগন্তের চারদিকে আরো বেশি স্বপ্নিল রং মেখে সে বিদায় জানায়। সৈকতের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় সারিবদ্ধভাবে জেলেদের মাছ ধরার ইঞ্জিন নৌকা। লাল, নীল, বেগুনি ইত্যাদি বাহারি রঙের পতাকা দিয়ে জেলেরা এখানে তাদের নৌকাগুলোতে সাজিয়ে থাকেন। নৌকাগুলোর গায়েও থাকে রংতুলির শৈল্পিক আঁচড়। তা ছাড়া দৃষ্টি মেলে তাকালেই দূরের পানে দেখতে পাবেন ঘন ঝাউবন। কাছেই দেখতে পাবেন জেলেদের বসতি।

পূর্ণিমার জোয়ারের ঢেউ টেকনাফ সৈকতে বিশাল আকার ধারণ করে। এ সময় সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ এসে একেবারে তীরে আছড়ে পড়ে। টেকনাফ সৈকতের আরেক আকর্ষণ সকাল-বিকেল জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য উপভোগ করা। চিংড়ির পোনা শিকারীরা এ সৈকতে নিজস্ব কৌশলে সর্বদা ব্যস্ত থাকে পোনা ধরতে। আর দূর সমুদ্র থেকে নৌকা বোঝাই মাছ নিয়ে শত শত জেলে এখানেই আসে সকাল-বিকেল।

যাবেন কীভাবে

কক্সবাজার থেকে বাস ও মাইক্রোবাসে টেকনাফ আসা যায়। বাসে এখানকার ভাড়া ৮০-১২০ টাকা। আর মাইক্রোবাসে ১০০-১৫০ টাকা। কক্সবাজার থেকে টেকনাফের বাস ছাড়ে আন্তজিলা বাস টার্মিনাল থেকে আর মাইক্রোবাসগুলো শহরের কলাতলী এবং টেকনাফ বাইপাস মোড় থেকে ছাড়ে। ঢাকা থেকে সরাসরি টেকনাফ যাওয়া যায় সড়ক পথে। এ পথে চলাচলকারী এসি বাস হলো সেন্টমার্টিন সার্ভিস। ভাড়া এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়া শ্যামলী পরিবহন, সৌদিয়া পরিবহন, ইউনিক সার্ভিস, হানিফ এন্টারপ্রাইজের নন এসি বাসও চলে এই পথে। ভাড়া ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। থাকার জন্য পর্যটন মোটেল নে টং ছাড়া এখানে আছে সাধারণ মানের কয়েকটি হোটেল। নেটংয়ে প্রতিদিনের রুম ভাড়া ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা। আর অন্যান্য সাধারণ মানের হোটেলে ৫০০-১০০০ টাকায় থাকার ব্যবস্থা আছে অথবা আপনাকে কক্সবাজার এসে থাকতে হবে।