বুধবার, ৭ই জুন, ২০১৭ ইং ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

ধর্ষক খালাস, ধর্ষিতার ফাঁসি!

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ২৯, ২০১৭
news-image

---

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনলেন এক তরুণী। কিন্তু সেই অভিযোগ আমলে না নিয়ে ‘অবৈধ’ সম্পর্কের অভিযোগ তুলে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয় গ্রাম পঞ্চায়েত। আর সেই চাচাতো ভাইকে কোনো শাস্তিই দেওয়া হলো না।

এ ঘটনা পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে। বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, প্রাদেশিক রাজধানী লাহোর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরের রাজানপুরে গত শুক্রবার ওই তরুণীকে দণ্ড দেওয়া হয়। ১৯ বছর বয়সী ভুক্তভোগী ওই তরুণীর নাম শুমাইলা। পঞ্চায়েতের ঘোষণা করা মৃত্যুদণ্ডের সিদ্ধান্ত শোনার পর গ্রাম থেকে পালিয়ে যান তিনি। পরে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।

চাচাতো ভাই খলিল আহমেদের সঙ্গে কোনো ধরনের ‘অবৈধ’ সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করেছেন শুমাইলা। তাঁর অভিযোগ, খলিল বন্দুকের মুখে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। ধর্ষণের অভিযোগ পঞ্চায়েত গ্রহণ করেনি। তারা খলিলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো তাঁর (শুমাইলা) বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ এনে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে।

মৃত্যুদণ্ডের রায় শুনে জীবনের শঙ্কায় গ্রাম থেকে পালান শুমাইলা। গত শনিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন তিনি। শুমাইলাকে একটি সরকারি সেফহোমে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, শুমাইলার অভিযোগের ভিত্তিতে তারা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেছেন। শুমাইলাকে পাথর নিক্ষেপ বা অন্য উপায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় জড়িত গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের ধরা হবে।

শুমাইলার বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত মানতে তাঁকে বাধ্য করা হচ্ছিল।

পাকিস্তানের গ্রামাঞ্চলে পঞ্চায়েত-ব্যবস্থার মাধ্যমে এই ধরনের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার বিষয়টি প্রায়ই শোনা যায়। তবে দেশটিতে এমন দণ্ডাদেশ ঘোষণার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।

এ জাতীয় আরও খবর