শুক্রবার, ৭ই জুলাই, ২০১৭ ইং ২৩শে আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

বিডিআর হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ

AmaderBrahmanbaria.COM
জুন ৬, ২০১৭
news-image

---

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : বহুল আলোচিত বিডিআর হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে এবং আসামিদের সাজাবৃদ্ধি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের তিনটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (৬ জুন) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুননানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও জাহিদ সরোয়ার কাজল।

রাষ্ট্রপক্ষ বিলম্বে আপিল করার যথাযথ যুক্তি দেখাতে না পারায় গত ১৩ এপ্রিল বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ (বৃহত্তর) বেঞ্চ রকারের তিন আপিল খারিজ করে দেন। হাইকোর্টের এই খারিজাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আজ এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের ওই আপিলও খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ।

নিম্ন আদালত ১৫২ জনকে মৃত্যুদন্ড, ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন, ২৫৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড এবং ২৭৭ জনকে খালাস দেয়। এদের মধ্যে ইতিমধ্যে ১৫ জন মারা গেছেন। নিয়ম অনুযায়ী ফাঁসির রায় অনুমোদনেরজন্য নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। এছাড়া একশ ৩৭ জন ফাঁসির আসামিআপিল করে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে সকলেই আপিল করলেও রাষ্ট্রপক্ষ শুরুতে কোনো আপিলকরেনি। কিন্তু বিচারের শেষ পর্যায়ে এসে তিনটি আপিল দায়ের করে রাষ্ট্রপক্ষ।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে তৎকালীন বিডিআর(বর্তমানে বিজিবি) সদরদপ্তরে (পিলখানা) সংঘটিত ট্রাজেডিতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এরপর ওই বছরের ২৮ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়। পরে মামলা দুটি নিউমার্কেটথানায় স্থানান্তর হয়। এরমধ্যে হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের পর রাজধানীর লালবাগের আলিয়ামাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে বিচার করা হয়।

বিচার শেষে ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর হত্যা মামলাররায় ঘোষণা করেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান। মামলার আসামি ছিল৮শত ৪৬জন। এ মামলায় উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) তৌহিদুল আলমসহ ১৫২ জনকে মৃত্যুদন্ড, বিএনপিরসাবেক সাংসদ নাসির উদ্দীন আহম্মেদ পিন্টু (কারাগারে মৃত্যু), স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা তোরাবআলীসহ ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- এবং সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদ-সহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়াহয়েছে আরও ২৫৬ জনকে। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন ২৭৭ জন।