g পিয়াজের বাজারে ঘোড়ার দৌড়ঁ লাগাম ধরবে কে ? | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শনিবার, ২১শে অক্টোবর, ২০১৭ ইং ৬ই কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

পিয়াজের বাজারে ঘোড়ার দৌড়ঁ লাগাম ধরবে কে ?

AmaderBrahmanbaria.COM
আগস্ট ৫, ২০১৭

---

বিশেষ প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরসহ পৌর শহরের বাজার গুলোতে গত ১৫দিনের ব্যবধানে পিয়াজের দাম দ্বিগুন হয়ে গেছে।অনেকটা বেশামাল আর নিয়ন্ত্রন হীন অবস্হায় বাড়ছে এর মূল্য।এভাবে বাড়তে থাকলে সাধারণ ও নিম্ন আয়ের ভোক্তারা অল্প দিনের মর্ধ্যে পিয়াজ ছাড়াই তাদের দৈনদিন রান্নার কাজ সারতে হবে বলে অনেকেই মনে করছেন।  আর এর প্রধান কারণ হিসেবে বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আসন্ন ঈদুল উল-আযহা উপলক্ষে একশ্রেণীর অসাধু মজুতদারদের বিরাট কারসাজি শুরু করেছেন। তারা আগে থেকে কৃএিম সংকট তৈরী করে সাধারণ ভোক্তা মানুষগুলোর কাছ প্রতিনিয়ত পকেট কেটে টাকা নিতে শুরু করেছে।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শহরের জগৎ বাজারের রয়েছে জেলার প্রথম শ্রেণীর বেশ কয়েকজন মজুতদার। তারা বিগত ১৫দিন আগে যে এলসি (ভারতীয়) পিয়াজ পাইকারি বাজারে ১৭/১৮ টাকা বিক্রি করতেন গত ৭দিনের ব্যবধানে সে পিয়াজই তাদের অদৃশ্য গোডাইনে রেখে আবার ২৪/২৫টাকা দরে পাইকারি বাজারে বিক্রি করছেন।আর তা খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি ২৮/৩০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।দুই/তিন দিন  ধরে তা এক লাফ দিয়ে কৃএিম ও দেশের বাজারে সরবরাহ সংকট দেখিয়ে তা বিক্রি হচ্ছে ৩৮/৪০টাকা ধরে। আর খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি  ৪৩/৪৫ টাকা করে। তা স্বভাবগত ভাবে অনেক ভোক্তার ধারণ ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।

নামপ্রকাশ না করার শর্তে শহরের ফারুকি বাজার, সড়ক বাজার ও কাউতলী বাজারে কয়েকজন খুচরা বিক্রেতা জানান, সবকিছুই হচ্ছে মজুতদারদের কারসাজি। একই পিয়াজ তারা কৃএিম সংকট দেখিয়ে সিন্ডিকেট করে দ্বিগুন দামে বিক্রি করছে আমাদের কাছে। আর এর প্রভাব পড়ছে সাধারণ ক্রেতাদের কপালে। যদি বাজার সঠিক ভাবে মনিটরিং না করা হয় আসন্ন ঈদুল উল-আযহার আগে পিয়াজের কেজি ১০০টাকায়ও যেতে পারে। মজুতদাররা সবাই মিলে সারাদেশে কৃএিম সংকট তৈরী করে এর তিনগুণ দাম নিবার পরিকল্পনা ছক তৈরী করে হাটছে।

কয়েকজন ক্রেতা জানান জরুরি ভিওিতে বাজার মনিটরিং করা দরকার তানাহলে আমাদের পিয়াজ না খেয়ে থাকতে হবে। তাছাড়া বাজারে তো দেশি পিয়াজ কিনার কোন ক্ষমতাই নেই আমাদের এখনি ৬৫/৭০টাকা দাম হাকছে খুচরা দোকানদাররা তাও সারা বাজারে দুই /চার জনের কাছে আছে।

জেলা শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি মো:আজিজুল হক জানান, আমি আজ থেকে বাজারের বিশিষ্ঠ পিয়াজ আড়ৎ মালিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসছি বিষয়টি কি কৃএিম সংকট নাকি সরবরাহ সংকট বের করে মন্ত্রণালয়ে কথা বলব।

এ জাতীয় আরও খবর