শনিবার, ২৭শে জানুয়ারি, ২০১৮ ইং ১৪ই মাঘ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

জিম্বাবুয়েকে ২১৭ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ : লাইভ দেখুন (Live)

AmaderBrahmanbaria.COM
জানুয়ারি ২৩, ২০১৮

স্পোর্টস ডেস্ক : ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের উপর চাপটা ছিল না খুব বেশি। দুই ম্যাচ খেলেই টাইগাররা নিশ্চিত করে ফেলেছে নিজেদের ফাইনাল। তবুও জিম্বাবুইয়ানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ থাকলো একটু চাপেই। নিজেদের ইনিংসে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছে ২১৬ রান।

টস জিতে মাশরাফি বিন মর্তুজা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আগে ব্যাটিংয়ের। উদ্বোধনী জুটিতে আগের দুই ম্যাচে পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি পেলেও এই ম্যাচে ৬ রানেই ফিরেছেন এনামুল হক বিজয়। দারুণ চাপে থাকা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে তামিম ইকবাল গড়ে তুলেন প্রতিরোধ।

ধীরে-সুস্থে পুরো ত্রিদেশীয় সিরিজ জুড়ে দারুণ ফর্মে থাকা সাকিব আর তামিম বাংলাদেশ দেখাচ্ছিলেন পথের দিশা। ১০৬ রানের জুটি গড়ে প্রথম বিদায় নিয়েছিলেন সাকিব। অবশ্য ফেরার আগে ওয়ানডেতে নিজের ৩৭তম অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। ৫১ রান করতে সাকিবের ৮০ বল খরচ খুব ভাল করেই বুঝিয়ে দিয়েছে রান তোলাটা ছিল কত কঠিন!

ভিতটা দাঁড়িয়ে গেলেও অতিরিক্ত ডট বলের চাপটা ঠিকঠাক সামলাতে পারেনি বাংলাদেশ। সাকিব ফিরে যাওয়ার পর দ্রুতই ফিরে যান মুশফিক চেষ্টা করলেও ফিরতে হয়েছে ১৮ রান করেই। মাহমুদউল্লাহও ফেরেন দ্রুত। আকাশ সমান চাপটা তখন এক প্রান্ত আগলে রাখা তামিম ইকবালের উপর।

হতাশ অবশ্য করেননি বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান। নিজের ৪১তম অর্ধশতক উদযাপনের পাশাপাশি গড়েছেন দুটি অনবদ্য রেকর্ড। আগের দুই ম্যাচেই হাঁকিয়েছিলেন ৮৪ রানের জোড়া ইনিংস। শতকটা অবশ্য পাওয়া হয়নি এই ম্যাচেও। তবে দলীয় সর্বোচ্চ ৭৬ রানের ইনিংসটা এসেছে তার ব্যাট থেকেই।

৭৬ রানের লড়াকু ইনিংসটি খেলার পথে তামিম গড়েছেন দুটি রেকর্ড। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে পূর্ণ করেছেন ছয় হাজার রানের মাইলফলক। আর এক ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডে পেছনে ফেলেছেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি সনাৎ জয়সুরিয়াকে।

তামিমের বিদায়ের পর খুব দ্রুত চারটি উইকেট পতনে অবশ্য চাপের মুখেই পড়ে যায় মাশরাফি বাহিনী। সাব্বির রহমানকে দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফিরিয়েছেন ক্রেইগ অরভিন। এরপর দলের দায়িত্বটা নেয়ার কথা ছিল নাসির হোসেনের। আর তিনি কিনা উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন জারভিসের বলে! দলনায়ক মাশরাফিকে সাজঘরের রাস্তাটা ধরতে হয়েছে শূন্য হাতেই।

মুস্তাফিজুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে সানজামুল ইসলাম চালিয়েছিলেন লড়াই। মূলত সানজামুলের ১৯ আর মুস্তাফিজের ১৮ রানে ভর করেই বাংলাদেশ পার করে ২০০ রানের ঘর। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার ৪উইকেট এবং কাইল জারভিসের ৩ উইকেটে বাংলাদেশ শেষমেশ স্কোরকার্ডে ৯ উইকেটে ২১৬ রানের পুঁজি গড়ে।