শুক্রবার, ৬ই এপ্রিল, ২০১৮ ইং ২৩শে চৈত্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

ভাটারায় জমি দখলে মালিকদের ওপর আনসার বাহিনীর হামলা

নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর ভাটারা এলাকায় জমি দখলে মালিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে আনসার বাহিনীর সদস্যরা। অথচ আনসার বাহিনী ওই জমির বৈধ মালিক নয়।  বুধবার দুপুরে আগ্নেয়াস্ত্র ও লাঠিসোটাসহ নানা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জমির বৈধ মালিকদের ওপর নজিরবিহীনভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাজধানীর ভাটারা এলাকায় সাধারণ মানুষের জমি দখল করে সেখানে ‘আনসার বাহিনীর ক্রয়কৃত সম্পত্তি’ লেখা সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয় এই সরকারি বাহিনী। প্রায় ৮-১০টি স্থানে আনসারকে তাঁবু ও সাইনবোর্ড টানাতে দেখা গিয়েছিল। এ পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত অনেকে থানা ও আদালতের দারস্থ হন। অভিযোগ করে তারা বলেন, সরকারি একটি বাহিনীর সদস্যরা ইচ্ছা করলেই সংস্থার নামে জমি ক্রয় করতে পারেন না।

দখলকৃত জমিগুলোর পাশেই তাঁবু টানিয়ে সশস্ত্র অবস্থান নেয় বাহিনীর সদস্যরা। আনসারদের দখল করা এসব প্লটের পাশের স্থানীয় বাসিন্দারা প্লটগুলো নিজেদের জমি বলে দাবি করে আসছেন। তাদের সঙ্গে জমির ফাইলপত্রও আছে। নথিপত্রে নামজারি, আরএস ও এসএ পর্চার কপিও রয়েছে। এসব কাগজপত্র দেখিয়ে তারা নিজেদের প্লট বলে দাবি করছেন তখন থেকেই।

তখন আনসার কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল, একটি বেসরকারি আবাসন কম্পানির কাছ থেকে তারা এসব জমি ক্রয় করেছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত অনেকে তাদের কাছে দলিল থাকার কথা জানিয়ে বলে, জমি ক্রয় করার পক্ষে সংস্থার দায়িত্বরত কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক প্রমাণ দেখাতে পারছেন না। এমনকি যে আবাসন কম্পানির কথা বলা হচ্ছে, তাদের জমি এখানে নেই বলেও অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার দুপুরে বেদখল হওয়া নিজেদের জমিতে মালিকরা গেলে আগ্নেয়াস্ত্র ও লাঠিসোটাসহ নানা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নজিরবিহীনভাবে এ হামলা চালানো হয়। পরে ভাটারা থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনেন। এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ দুপক্ষকেই বিকালে বৈঠকে ডাকেন তিনি।

জমির বৈধ মালিকরা জানান, সব বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও ১০/১৫ বছর ধরে তাদের সম্পত্তিতে অবৈধভাবে তাবু টাঙিয়ে জায়গা দখল করে আছে এসব আনসার সদস্যরা। এদিন জমিতে আসামাত্রই লাঠি-সোটা, শাবল ও হাতুড়ি নিয়ে জমির বৈধ মালিকসহ সাধারণ মানুষের ওপর নজিরবিহীনভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা।

এদিকে, অস্ত্রশস্ত্র হাতে সাধারণ মানুষের ওপর আনসার সদস্যদের হামলার দৃশ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লেও বাহিনীর কর্মকর্তারা ঘটনা সত্য নয় বলে দাবি করেছেন। তারা বলেন, এখানে কোনো মারামারি হয়নি।

Print Friendly, PDF & Email