সোমবার, ২৯শে অক্টোবর, ২০১৮ ইং ১৪ই কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে এএসআইয়ের জবানবন্দি

গর্ভ ধারণের অপরাধে নিজের স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে শিল্প পুলিশের এএসআই ঘাতক ফিরোজ আল মামুন। হত্যার ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য নাটক সাজিয়ে নিজেই দা দিয়ে মাথায় আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে তিনি এ কথা জানান। আজ শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইল পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থার পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম ভুইয়ার সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রী শিল্পি হত্যার আড়াই মাস পর গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে শিল্প পুলিশের এএসআই ঘাতক স্বামী ফিরোজ আল মামুনকে গাজীপুরের পুলিশ লাইন থেকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইলের পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থার (পিবিআই) ইনচার্জ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বেলাল হোসেন, পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম ভুইয়া।

জানা গেছে, গত ১৩ আগস্ট দুপুরে এএসআই মামুন মির্জাপুর পৌর এলাকার বাওয়ার কুমারজানীস্থ নিজ বাড়িতে বটি দিয়ে কুপিয়ে তাঁর গর্ভবতী স্ত্রী শিল্পিকে হত্যা করে। হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে নাটক সাজিয়ে নিজের মাথায় কোপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে তিনি। পরে এ ঘটনায় নিহত শিল্পির ভাই উপজেলার যোগিরকোফা গ্রামের মোস্তফা শিল্পির স্বামী এএসআই মামুনকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এরপরে গত ২৩ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থায় (পিবিআই) চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলাটি স্থানান্তরিত হলে বৃহস্পতিবার সকালে তারা গাজিপুর শিল্প পুলিশ ফাড়ি থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করে। ওইদিন বিকেল ৫টায় এএসআই মামুনকে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল আলমের আদালতে হাজির করা হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জাবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে মামুন উল্লেখ করেন, সন্তান ধারণ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে স্ত্রী শিল্পির সাথে ঝগড়া ঝাটি হচ্ছিল। ঘটনার দিন এ বিষয় নিয়ে ঝগড়া ঝাটির এক পর্যায় বটি দিয়ে মামুন তার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে।