শনিবার, ২৭শে জানুয়ারি, ২০১৮ ইং ১৪ই মাঘ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

ঢামেকে পুলিশ সদস্যকে পেটানোর ঘটনায় ৫৯ আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার

AmaderBrahmanbaria.COM
জানুয়ারি ২৪, ২০১৮

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনসার সদস্যদের কর্তৃক পুলিশ কনস্টেবলকে মারধরের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই সাথে ঢামেকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৫৯ জন সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনার পর ঢামেকে প্রশসান, পুলিশ ও আনসার কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। ঢামেকের উপ-পরিচালক ডা. বিদ্যুৎ কান্তি পালকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- পুলিশের রমজা জোনের এডিসি আজিমুল হক, এসি সাজ্জাদ এবং আনসারের ডিডি কামরুল ইসলাম ও এডি তামিমা সুলতানা।

ঘটনার সময় ডিউটিরত ওই শিফটের সকল আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের রমনা জোনের ডিসি মারুফ হোসেন সরদার।

তবে তিনি দাবি করেন, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল, ব্যক্তিগত পর্যায়ের।

 এর আগে, মাহবুবুল আলম (২৩) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে পিটিয়ে আহত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা। আহত পুলিশ সদস্যকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহত মাহবুবুল জানান, রুবেল নামে তার এক সহকর্মীকে দেখশোনা করার জন্য অফিসিয়ালি তাকে হাসপাতালে পাঠায়। বুধবার রুবেলের অ্যাপেন্ডিসাইটিসের অপারেশন হয়।

তিনি দাবি করেন, সন্ধ্যায় রুবেলকে দেখার জন্য রুমের ভেতর প্রবেশ করতে চাইলে ডিউটিরত আনসার সদস্য বাধা দিয়ে টাকা চায়। কেন টাকা দিতে হবে জানতে চাইলে আনসার সদস্য সাইফুল তাকে ধাক্কা দেন।

এরপর মাহবুবুল তার পরিচয় পুলিশ বললে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। পরবর্তীতে আনসার সদস্য সাইফুল বলেন-তুমি যেই হওনা কেন টাকা ছাড়া ভেতরে যেতে পারবে না।

একপর্যায়ে একজন নার্স এসে ‘ভর্তি রুবেলের কে আছেন?’-বলে ডাকলে মাহবুবুল ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর মাহবুবুল ভেতর থেকে এসে আনসার সদস্যের সঙ্গে কথা বলতে গেলে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়।

কিছুক্ষণ পর আরও ১০/১২ জন আনসার সদস্য নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র-আইসিইউর ভেতর থেকে পুলিশ সদস্য মাহবুবুলকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে মারধর করেন।

আহত মাহবুবুলকে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। আনসার সদস্য সাইফুলও কিছুটা আহত হন বলে জানা গেছে।

আনসারের প্লাটুন কমান্ডার বাদল বলেন, এ ঘটনায় আমাদেরও একজন আহত হয়েছেন। তবে কী বিষয়ে দু’জনের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে তা জেনে পরে বলতে পারব।

এদিকে ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি সমাধান করতে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছে ঢামেক প্রশাসন।