সোমবার, ২১শে মে, ২০১৮ ইং ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেমের টানে মাকে অজ্ঞান করে মেয়ে লাপাওা !

বিশেষ প্রতিনিধি : মোবাইল ফোনের রং নম্বরে প্রেম, অতঃপর মাকে অজ্ঞান করে মেয়েকে নিয়ে গেছে অজ্ঞাত প্রেমিক। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কলেজপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, জেলার নবীনগর উপজেলার রসূলপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে বুশরা আক্তার (১৬)। ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করার পর আর বিদ্যালয়ে যায়নি। ভর্তি করা হয় স্থানীয় একটি মহিলা মাদ্রাসায়। বয়স কম হওয়ায় পরিবার থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেওয়া হইনি তাকে। প্রয়োজনে বুশরা মা জোসনা বেগমের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন। মাস খানেক যাবত একটি অপরিচিত নম্বর থেকে মা জোসনা বেগমের নম্বরে প্রায় প্রতিদিন ফোন আসত। জোসনা বেগম গ্রামের সহজ সরল মহিলা হওয়া ফোনটি রিসিভ করতে দিত মেয়ে বুশরা আক্তারকে। এরই সূত্র ধরে অজ্ঞাত ওই নম্বরের ছেলের সাথে বুশরার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সপ্তাহ খানেক আগে। বিষয়টি আচ করতে পারে বুশরার বাবা রফিকুল ইসলাম। মেয়ে বুশরাকে জিজ্ঞাস করলে অস্বীকার করে।

বৃহস্পতিবার সকালে মেয়ে বুশরা আক্তারকে নিয়ে জেলা শহরের কলেজপাড়ায় বোনের বাসায় বেড়াতে রওয়ানা দেয় জোসনা বেগম। পথে পৈরতলা বাসস্টপ এলাকায় আসার পর, মায়ের মোবাইলে বুশরা সাথে কথা অজ্ঞাত ওই যুবকের। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজের পেছনের সড়কে রিকশা যোগে পৌঁছা মাত্র, আবারো কথা হয় অজ্ঞাত ওই প্রেমিকের সাথে বুশরার। এসময় অতর্কিত ভাবে একটি রুমাল ঢিল ছুড়া হয় জোসনা বেগমের দিকে। রুমালে মিশানো ওষুধে অচেতন হয়ে যায় জোসনা। পথচারীদের সহযোগীতায় দীর্ঘক্ষণ পর চেতনা ফেরে বুশরার মা জোসনা বেগমের। কিন্তু চেতনা ফেরে দেখেন মেয়ে বুশরা আক্তার পাশে নেই।

এঘটনায় বিকেলে বুশরার বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় অজ্ঞাত ওই যুবককে আসামি করে অপহরণের অভিযোগে একটি এজাহার করেছেন। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. জিয়াউল হক জানান, এঘটনায় মেয়েটির বাবা এজাহার দায়ের করেছেন। ছেলেটির নাম, ঠিকানা জানা নেই মেয়ের পরিবারের। মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে আমরা তদন্ত করছি।

Print Friendly, PDF & Email