বৃহস্পতিবার, ২৪শে মে, ২০১৮ ইং ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

নাসিরনগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ফলাফল বিপর্যয়ে অভিভাবকদের ক্ষোভ 

আকতার হোসেন ভুইয়া,নাসিরনগর : নাসিরনগরের একমাত্র সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ নাসিরনগর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। গত বছরের ন্যায় এবারও এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফলে বড় ধরণের বিপর্যয় ঘটেছে। এ বছর সরকারী বিদ্যালয়টি হতে মোট ১৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। পাশ করেছে মাত্র ৫ জন। ফেল করেছে ১০ জন। গতবছর বিদ্যালয়ের ফলাফলের শতকরা হার ছিল ৪৩.৭৫। এবার ফলাফল শতকরা হার ৩৩.৩৩। কেউ জিপিএ-৫ পায়নি। শতকরা হারে উপজেলার সবচেয়ে কম পাস করেছে এ বিদ্যালয়টি। এ কারণে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। তারা ফলাফল বিপর্যয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের দায়ী করেছেন। তাছাড়া জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় (জেএসসি) ২২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে মাত্র ৭ জন,পাসের হার ৩১ দশমিক ৮২ শতাংশ। এ বিদ্যালয় থেকে কেউ জিপিএ-৫ পায়নি।

রবিবার(৬ মে) আনুষ্ঠানিক ফলাফলে নাসিরনগর উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ জন। নাসিরনগরে এসএসসি পরীক্ষায় মোট ১৮টি বিদ্যালয় থেকে ১৬৫৭ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। এরমধ্যে পাস করেছে ১১১৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ জন। ১৮টি বিদ্যালয় মধ্যে চাতলপাড় ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ জন,নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩ জন,ফান্দাউক পন্ডিতরাম উচ্চ বিদ্যালয় ৩ জন,গোর্কণ সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে ২ জন,ভলাকুট কে.বি উচ্চ বিদ্যালয় ২ জন,হরিনবেড় শাহজাহান উচ্চ বিদ্যালয় ১ জন,বড়নগর উচ্চ বিদ্যালয় ১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এদিকে এসএসসি পরীক্ষায় চাতলপাড় ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে ও ফান্দাউক পন্ডিতরাম উচ্চ বিদ্যালয় পাসের হারে বিদ্যালয় ৯৩.৪২% পেয়ে উপজেলায় শীর্ষে রয়েছেন।

আর উপজেলার সবচেয়ে কম পাস করেছে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে।
এদিকে নাসিরনগরের একমাত্র সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ফলাফল বিপর্যয় গত কয়েক বছর ধরে এস,এস,সি ও জেএসসি পরীক্ষার ফল বির্পযয় ঘটেছে। সচেতন অভিভাবকরা তাদের মেধাবী ছাত্রীকে অন্যত্র ভর্তি করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে স্কুলটি দিন দিন মেধা শূণ্য হয়ে পড়ছে।
এবিষয়ে নাসিরনগর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কামরুন্নাহারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ফলাফল বিপর্যয়ের কথা স্বীকার করে জানান ভাল মানের কোন শিক্ষার্থী এবিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়ায় এ ফলাফল হচ্ছে। তবে এ থেকে উত্তোলনে আমরা চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি।

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ মাসউদ পারভেজ মজুমদার, এ বিদ্যালয়ে ফলাফল সন্তোষজনক নয় স্বীকার করে তিনি জানান,জেলা প্রশাসক মহোদয় এ বিদ্যালয়ের ফলাফলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাই এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে কি কি কারণে ফলাফল খারাপ হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার জন্য।

Print Friendly, PDF & Email