মঙ্গলবার, ২০শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ইং ৮ই ফাল্গুন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

তিন কাজের প্রতিদান মৃত্যুর পরও পাওয়া যায়

তিন কাজের প্রতিদান মৃত্যুর পরও পাওয়া যায়। এক. সদকায়ে জারিয়া! দুই. যে ইলমে ফায়দা দেই! তিন. নেককার সন্তান! আল্লাহ্ মানুষ এবং জিন জাতীকে সৃষ্টি করছেন তার ইবাদত করার জন্য! সুতারাং মানুষ দুনিয়াতে জীবিত থেকে যতোটুক ভালকাজ করবে এবং নিজের জীবনটাকে ইবাদত বন্দেগীর মধ্যে অতিবাহিতো করবে তার ততটুকু ছাওয়াব মিলবে ! আর যখন মৃর্ত্যুবরণ করে দুনিয়া থেকে বিদায় হয়ে যায়, তখন তার ভাল মন্দ সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায়! মাত্র তিনটি আমল ব্যতিত, আর তা হলো!

এক: সদকায়ে জারিয়া, যেমন কাণ ব্যক্তি মসজিদ মাদরাসা বানিয়ে দিলো, যতদিন পর্যন্ত মানুষ সেই মসজিদে নামাজ পড়তে থাকবে আর মাদরাসায় তালিম শিখতে থাকবে ততদিন পর্যন্ত তার ছাওয়াব ও মিলতে থাকবে! অথবা কেউ পানির জন্য টিউবল কুপ, টাংকি ইত্যাদির ব্যবস্তা করে দিলো এবং আলেম উলমা, মাদরাসা মসজিদের জন্য কোরআন’ কিতাব খরিদ করে দিলো! যতদিন পর্যন্ত মানুষ এই সমস্ত জিনিষের থেকে ফায়দা হাসিল করতে থাকবে ততদিন পর্যন্ত তার ছাওয়াব মিলতে থাকবে!

দুই: যে ইলম ফায়দা দেই, অর্থাৎ কোণ ব্যক্তি এমন দ্বীনি ইলম অর্জন করছে তা আবার তাবলিগ করে মানুষের কাছে পৌছায়! কিনবা দুনিয়াতে তার অনেক ভাল নেককার তালেব ইলম রেখে গেছন, যারা দ্বীনি ইলমের খেদমতের সাথে লেগে আছেন এবং এই তালিম বা পড়ানোর সিলসিলা জারি রাখছে! যেমন হযরত ইমাম আবু হানিফা (রহ.) হযরত ইমাম মালেক (রহ.) হযরত ইমাম শাফেয়ী (রহ.) হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহ.) তাদের ছাত্রদের বদৌলতে আজও পর্যন্ত অর্থাৎ চৌদ্দশত বছর পর্যন্ত ইলমের সিলসিলা জারি আছে! আরো বলতে পারি ইনশাআল্লাহ এই সিলসিলা কিয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবে! এমনিভাবে বর্তমমানে মাদরাসার তালিমের সিলসিলা সহ আরো যত্তসব পদ্ধতি আছে সব এর মধ্যে অন্তরভুক্ত! অথবা কেউ কোণ লিখুনির মাধ্যমে কিতাব লেখে গেছেন! যতদিন পর্যন্ত মানুষ এই কিতাব থেকে ফায়দা উঠাতে থাকবে ততদিন পর্যন্ত তার ছাওয়াব মিলতে থাকবে!

তিন: নেককার ভাল সন্তান, বাবা ‘মা’ মরার পরে যদি কোন নেককার সন্তান দুনিয়াতে রেখে যায়! তাখন মা বাবার মৃর্তুর পরে সন্তান তাদের জন্য দোয়া করতে থাকে ! আর এটা হয় ঐ সময় যখন বাবা মা সন্তানদের দ্বীনি তালিম শিক্ষা দেয়! এবং কোরআন সুন্নাহর আলোতে আলোকিত করে!

Print Friendly, PDF & Email